বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রমে উচ্চ আদালতের অনেক বিচারপতির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। জিয়াউর রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত না করে বাতিল করতেন এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতেন বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (৩১শে আগস্ট) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইস্টিটিউটে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় আইনমন্ত্রী আরও বলেন,‘জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে মুক্তিযুদ্ধে ও ক্ষমতা দখলের পর তার অবস্থান কি ছিলো। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে দূর্জন চিনতে হবে’। জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনীদের বিদেশি মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন। আর এরশাদ খুনীদের ফ্রিডম পার্টি গঠনের সুযোগ করে দেন। খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিনাভোটে নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর খুনীকে জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসান। জনগণের মুখে চপেটাঘাত করার জন্য এসব করা হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইনের শাসনের প্রতি আজীবন শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য তিনি প্রায় ১৩ বছর জেল খেটেছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। অথচ এদেশের মাটিতে কিছু কুলাঙ্গার তাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। আরও আশ্চর্যজনক বিষয়, এ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্সে জন্য হাইকোর্ট গেলে সাতজন বিচারপতি বিব্রতবোধ করে এ মামলার শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সরকার এখন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথে হাটছে। তবে, এর নেতিবাচক ধারা থেকে বের হয়ে আসতে আরো সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া, বাংলাদেশ আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত হলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হবে বলেও মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক।
অন্যান্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে আলোচনা করেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর, নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুক, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা ও যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম, ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া ।
বিএনএনিউজ/আরকেসি