বিএনএ, সাভার: ঢাকার ধামরাইয়ে রাস্তার পাশ থেকে বস্তাবন্দি রবিউল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে ধামরাই উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ভাড়ারিয়া বাজার এলাকায় পুকুর পাড় থেকে রবিউলকে বস্তাবন্দি মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকাবাসী। পরে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায় আশুলিয়া ইউনিয়নের এলাকা ভিত্তিক আধিপত্য বিস্তারের জেরে যুবককে খুন করা হয়।
নিহত রবিউল ইসলাম আশুলিয়া থানার দক্ষিণ বাইপাল চাড়ালপাড়া এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে। রবিউল পেশায় একজন গার্মেন্ট শ্রমিক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার সকালে অন্যান্য দিনের মতো রবিউল ইসলাম তার কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। দিন গড়িয়ে রাত হলেও বাড়ি ফিরে আসে না রবিউল। পরদিন বেলা ১২টার দিকে ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া এলাকার পুকুর পাড় থেকে তার রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকাবাসী। জীবিত আছে বলে চিকিৎসার জন্য রবিউলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২৭ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইসতিয়াক ভূইয়া ওরফে ইমন ও তার মামা শশুর সোহান মীরের সাথে ফরহাদ আহম্মেদ সোহাগ গংদের সাথে মারামারি ঘটনা ঘটে। সেই মারামারির ঘটনায় আশুলিয়া থানায় ইসতিয়াকের বড় ভাই রাশেদ ভূইয়া বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৮৪। সেই মামলার দুই নং আসামি করা হয় মো. রবিউল ইসলামকে। তারপর থেকেই শুরু হয় দুই গ্রুপের শত্রুতা। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে একের এক অপ্রীতিকর ঘটনা।
ধামরাই থানার এসআই পান্নু মিয়া বলেন, স্থানীয়রা বস্তাবন্দি যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে দেখি ওই যুবক মারা গেছে। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিএনএ/ইমরান, এমএফ