বিএনএ: দেশের ১২টি জেলা সদর হাসপাতাল এবং ৩৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হয়েছে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা। এতে চিকিৎসকরা সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত সময়ের পর নির্দিষ্ট ফি নিয়ে রোগী দেখতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সেবা উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং নিজ এলাকা মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত হয়ে কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রাথমিকভাবে দেশের ১২টি জেলা সদর হাসপাতাল এবং ৩৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই সেবা চালু করা হলো পাইলট প্রকল্প হিসেবে। ধীরে ধীরে পরবর্তীতে সব হাসপাতালে এই সেবা চালু করা হবে, তাতে বিশাল সংখ্যক চিকিৎসক জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এই সুযোগ পাবেন।
মন্ত্রণালয় এর আগে জানিয়েছে এ কার্যক্রমের আওতায় দ্বিতীয় শিফটে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রোগী দেখবেন চিকিৎসকরা। সপ্তাহে দুইদিন এই সেবা দেয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল, রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল, ফেনী সদর হাসপাতাল, কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল, জামালপুর সদর হাসপাতাল, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল, নওগাঁ সদর হাসপাতাল, ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল, কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল, ভোলা সদর হাসপাতাল, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে এ সেবা চালু হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, টাঙ্গাইলের মধুপুর, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ, নোয়াখালীর, চট্টগ্রামের পটিয়া, কুমিল্লার দাউদকান্দি, কক্সবাজারের পেকুয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও বান্দরবান লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ এ সেবা শুরু হয়েছে।
এ ছাড়া জামালপুরের সরিষাবাড়ী, শেরপুরের নকলা, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নেত্রকোনার দুর্গাপুর, যশোরের মনিরামপুর, মাগুরার শ্রীপুর, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, যশোরের কেশবপুর, নাটোরের গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, রাজশাহীর পবা, নওগাঁর সাপাহার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, রংপুরের বদরগঞ্জ, নীলফামারীর ডোমার, রংপুরের গঙ্গাচড়া, বরগুনার আমতলী, বরিশালের আগৈলঝাড়া, ভোলার চরফ্যাশন, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, সিলেটের গোলাপগঞ্জ, বিশ্বনাথ, হবিগঞ্জের মাধবপুর, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সেবা চালু হয়েছে।
প্রাইভেট প্র্যাকটিসের আওতায় রোগী জন্য অধ্যাপক পর্যায়ের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা। এরমধ্যে ৪০০ টাকা চিকিৎসক পাবেন, সেবার সহায়তাকারী পাবেন ৫০ টাকা এবং হাসপাতাল পাবে ৫০ টাকা।
এছাড়া সহযোগী অধ্যাপক বা সিনিয়র কনসালটেন্টের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা, যার ৩০০ টাকা চিকিৎসক পাবেন। সহকারী অধ্যাপক বা জুনিয়র কনসালটেন্ট বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী চিকিৎসকের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা, যার ২০০ টাকা চিকিৎসক পাবেন। এমবিবিএস বা বিডিএস বা সমমানের ডিগ্রিধারী চিকিৎসকদের ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, এর মধ্যে ১৫০ টাকা চিকিৎসক পাবেন।
এছাড়া লোকাল অ্যানেস্থেশিয়া প্রয়োগে ছোট সার্জারির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ফি ৮০০ টাকা এবং সার্জারির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমসহ অনেকে।
বিএনএনিউজ/এ আর