বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ার আগে জাতির উদ্দেশে দিতে যাওয়া এক পূর্বনির্ধারিত ভাষণ বাতিল করেছেন। দেশটির সেনাপ্রধান এবং সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ভাষণ বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দুইবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এবং আইএসআই প্রধান। এরপর ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই-ইনাসাফ (পিটিআই) এর সিনেপর ফয়সাল জাভেদ এক টুইট বার্তায় নিশ্চিত করেন, বুধবারের ভাষণ বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
অনাস্থা ভোটের আগে অন্যতম জোটসঙ্গী মোত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) আনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিপদ আরও বেড়েছে।
পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনও নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী পূর্ণ মেয়াদ দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে আসা ইমরান খানের ভবিষ্যতও রয়েছে ঝুঁকিতে। ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর এবারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন তিনি। ইমরানের বিরুদ্ধে আর্থিক অব্যবস্থাপনা এবং পররাষ্ট্রনীতির ভুলের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে শুরু হবে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি। ছোট ছোট কয়েকটি দলের সমর্থনে ক্ষমতায় টিকে যাওয়ার আশা করছেন ইমরান খান।
কাগজে কলমে পাকিস্তানের ৩৪২ আসনের পার্লামেন্টে পিটিআই এবং জোটসঙ্গীদের আসন রয়েছে ১৭৬টি। আর বিরোধীদের আসন রয়েছে ১৬৩টি। তবে মঙ্গলবার এমকিউএম জানায় তাদের সাত আইনপ্রণেতা বিরোধীদের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেবেন। পিটিআই এর বেশ কয়েক জন আইনপ্রণেতাও জানিয়েছেন তারাও বিরোধীদের পক্ষে ভোট দেবেন। তবে দলীয় নেতারা তাদের ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ