ফুটবলের কালো মুক্তা, ব্রাজিলের তিনবারের ফিফা বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক পেলে আর নেই। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে ব্রাজিলের পত্রিকা দি রিও টাইমস জানিয়েছে,৮২বছর বয়সী পেলে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরলোক গমন করেন। গত ২৯ নভেম্বর থেকে সাও পাওলোর একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ফুটবলের রাজা কালু মুক্তা যার পুরো নাম এডসন আরন্তেস ডো নাসিমেন্টো। যিনি পেলে নামে সারা বিশ্বে পরিচিত।
পেলের জন্ম
১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের ট্রেস কোরাসোয়েসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন পেলে। যে ট্রেস কোরাসোয়েসের অর্থ হল ‘তিনটি হৃদয়’। বাবার থেকে রক্তে ফুটবল এসেছিল পেলের। তাঁর বাবা আধা-পেশাদারি ফুটবল লিগে খেলতেন। কিন্তু হাঁটুর চোটের জন্য কেরিয়ারে ইতি পড়েছিল।
পেলের নামকরণ
কীভাবে ট্রেস কোরাসোয়েসের ছোট্টো ছেলেটার নাম পেলে হল, তা নিয়ে প্রচুর কাহিনি আছে। তবে পেলে নিজে জানিয়েছিলেন, ছেলেবেলায় পাড়ায় প্রায়শই গোলকিপার হিসেবে খেলতেন। সেইসময় স্থানীয় খেলোয়াড় ‘বাইল’-এর সঙ্গে তাঁর তুলনা করা হত। সেই নামই ক্রমশ পালটে-পালটে পেলে হয়েছিল। যে যেটাই হোক না, গোলকিপার নয়, বরং ফরোয়ার্ড হিসেবে বিশ্ব ফুটবল কাঁপিয়েছিলেন পেলে।
ফিফার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ১,৩৬৬ টি ম্যাচে ১,২৮১ টি গোল করেছিলেন পেলে। অর্থাৎ প্রতি ম্যাচে গোলের হার ছিল ০.৯৪। তবে কয়েকটি গোল এসেছিল মিলিটারি সার্ভিস বা ফ্রেন্ডলিতেও। অফিসিয়াল টুর্নামেন্টে পেলের গোলের সংখ্যা ছিল ৭৫৭ – ৮১২ টি ম্যাচে)।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোল করার রেকর্ডও তৈরি করেছিলেন পেলে। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে ওয়েলসের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন। সেইসময় তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ২৩৯ দিন। ওই গোলের সুবাদেই ম্যাচ জিতেছিল ব্রাজিল।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটট্রিকেরও নজির গড়েছিলেন পেলে। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ‘ব্ল্যাক পার্ল’। সেইসময় তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪৪ দিন।
বিএনএনিউজ২৪, জিএন