বিএনএ, ডেস্ক: কুয়েত এইচআইভিতে আক্রান্ত ১০০ জনেরও বেশি প্রবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কথা জানিয়েছে। বার্ষিক এইডস এবং যৌন রোগ সম্মেলনে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন। সম্মেলনটি গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আহমেদ আল আওয়াধি এইডস মহামারি মোকাবিলায় আঞ্চলিক নেতা হিসেবে কুয়েতের অবস্থানের ওপর জোর দেন।
কুয়েত ইউএনএআইডিএস-এর ৯০-৯০-৯০ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। অর্থাৎ এইচআইভিতে আক্রান্ত ৯০ শতাংশ লোককে শনাক্ত করা, তারা তাদের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন ও ৯০ শতাংশকে কার্যকর চিকিৎসা প্রদান করা।
ড. আল আওয়াধি বলেছেন, ‘এখন আমাদের প্রচেষ্টা জাতীয় এইডস কৌশল ২০২৩-২০২৭-এর অংশ হিসেবে পরবর্তী মাইলফলক ২০২৫ সালের মধ্যে ৯৫-৯৫-৯৫ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো।’ তিনি আরো বলেন, কুয়েত স্বেচ্ছামূলক পরীক্ষা ও কাউন্সেলিং পরিষেবা প্রসারিত করছে এবং এইডস-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনস্বাস্থ্য বিভাগ ও সংক্রামক রোগ হাসপাতালে বিদ্যমান সুবিধার পরিপূরক আহমদী স্বাস্থ্য জেলায় তৃতীয় ক্লিনিক খুলেছে। এই ক্লিনিকগুলো এইডস সক্রান্ত পরীক্ষা এবং পরামর্শ প্রদান করে থাকে। শুধুমাত্র ২০২৩ সালে এইচআইভি মুক্ত ঘোষণা করে ২ হাজার প্রশংসাপত্র প্রদান করেছে ক্লিনিকগুলো।
কুয়েতের জনস্বাস্থ্যের পরিচালক ডা. ফাহদ আল গামলাস জানান, এইচআইভি পজিটিভ প্রবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করার একটি অংশ।
তিনি বলেন, ‘আমরা কুয়েতের নাগরিকদের মধ্যে ১৬৫টি এবং প্রবাসীদের মধ্যে ১০০টিরও বেশি পরীক্ষা করেছি। সকল প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।’ কুয়েতের জাতীয় এইডস প্রতিবেদন ২০২৩ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এইডস এবং যৌন সংক্রামিত রোগ (এসটিডি) সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়ানো রোধ করতে গুরুত্ব দিয়েছেন। আল আওয়াধি মন্তব্য করেছেন, ‘এইডসকে মোকাবেলা করা শুধুমাত্র একটি স্বাস্থ্য সমস্যাই নয়, এটি একটি মানবিক এবং নৈতিক দায়িত্ব।’
তিনি পরিবার, স্কুল এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সচেতনতামূলক প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার আহবান জানিয়েছেন।
বিএনএনিউজ/ বিএম