বিএনএ ডেস্ক: পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় শোক জানিয়ে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরে আউলিয়া ঘাটে সেতু নির্মাণকাজ শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদে নৌকাডুবিতে মৃত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘নৌকাডুবির ঘটনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসার পরই তিনি ব্রিজ নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী একনেকে ব্রিজটির বিল পাস হয়েছে। কাজ শুরু হয়েছে ডিজাইনের। ডিজাইনের কাজ শেষ হলেই টেন্ডার হবে। এরপরেই নির্মাণকাজ শুরু হবে।’
রেলমন্ত্রী জানান, কী কারণে এত বড় একটি ঘটনা ঘটলো। যারা মহালয়ার আয়োজন করেন তাঁদের দোষ আছে কি না, সবকিছু খতিয়ে দেখছে তদন্ত কমিটি। উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হারানোর পরিবারগুলোর পাশে থাকার কথা জানিয়ে দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা হলেই ঘটনার মামলা ও পরবর্তী কার্যক্রমে এগোবে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, গত রোববার বেলা ৩টার দিকে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নে অবস্থিত করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাট থেকে শতাধিক পুণ্যার্থী নিয়ে একটি নৌকা বদ্বেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিল। নৌকাটি নদীর মাঝে গেলে মোড় নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যায়।
নৌকা ডুবির ঘটনায় গত পাঁচ দিনে মোট ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে নারী ৩০ জন, পুরুষ ১৮ জন এবং শিশু ২১ জন। এখনও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের মধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘি গ্রামের বাসিন্দা ধীরেন চন্দ্রের জয়া রানী (৪), বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সুরেন (৩২) ও দেবীগঞ্জ উপজেলার ছত্রশিকারপুর এলাকার ভূপেন্দ্র নাথ বর্মনকে (৪০)।
উদ্ধার হওয়া মরহেদগুলোর মধ্যে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ৪৫ জন, আটোয়ারী উপজেলার দুজন, দেবীগঞ্জ উপজেলার ১৮ জন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার তিনজন এবং পঞ্চগড় সদর উপজেলার একজন।
বিএনএ/এ আর