বিএনএ চট্টগ্রাম: ছয়দিন পার হয়ে গেলেও চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর এলাকায় জলাবদ্ধতার তীব্র স্রোতে পা পিছলে নালায় পড়ে যাওয়া সালেহ আহম্মেদের খোঁজ এখনও কোন পাওয়া যায়নি। তবে মরদেহ না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার বিপ্লব কুমার নাথ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সোমবার ৬ষ্ঠ দিনের মত কালুরঘাট, চান্দগাঁও ও তার আশেপাশের এলাকায় নালা-খালে অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। ছয় সদস্যের পৃথক টিমে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বিভক্ত হয়ে কাজ করছে। চান্দগাঁও খালে প্রচুর ময়লা-আবর্জনা রয়েছে। সালেহ আহমেদের মরদেহ কোন ময়লা আবর্জনার সঙ্গে চাপা পড়ে আছে। না হয় এতোদিনে তার মরদেহ পানিতে ভেসে উঠতো। মরদেহ না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার কাজ বন্ধ হবে না বলে জানান তিনি।
নিখোঁজ ব্যক্তির ছেলে সাদেকুল্লাহ মহিম জানান, তার বাবাকে আর জীবিত ফেরত পাওয়া যাবেন না। তবে, মরদেহটা পেলে যাতে কবর দিতে পারবেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট প্রবল বৃষ্টির মধ্যে নগরীর মুরাদপুরে নালায় পড়ে নিখোঁজ হন আনুমানিক ৫৫ বছর বয়সী সালেহ আহমদ। তার বাড়ি পটিয়া উপজেলার মনসা গ্রামে। নগরীর চকবাজার কাঁচাবাজারে নিজস্ব দোকানে সবজি বিক্রি করতেন তিনি। মাইজভাণ্ডার শরীফের ভক্ত সালেহ আহমদ ফটিকছড়িতে মাজার জেয়ারতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
এর আগে ৩০ জুন চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর এলাকার চশমা খালে সিএনজি চালিত অটোরিকশা উল্টে দুইজনের মৃত্যু হয়েছিল। দুইটি ঘটনার দিনই চট্টগ্রামে বৃষ্টি হয়ে জলাবদ্ধতায় খাল-নালা পানিতে একাকার ছিল।
বিএনএনিউজ/আরকেসি