বিএনএ ঢাকা: দেশের বিদ্যমান স্থিতি নষ্ট করতে পরাশ্রয়ী আন্দোলন নির্ভর বিএনপি নানামুখী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ক্যাম্পাসগুলোকে উত্তপ্ত করতে ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সোমবার (৩০ আগস্ট) ওবায়দুল কাদের তার সরকারী বাসভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আরও বলেন, করোনার ক্ষতি কাটিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ছাত্র-শিক্ষকগণ যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখনই ঠুনকো অজুহাতে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার নোংরা রাজনীতি করছে বিএনপি। সাম্প্রদায়িক দানবদের সঙ্গে নিয়ে দলটি অতিদানবীয় অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনা সরকার নয়, বিএনপিই হচ্ছে আসল দানবীয় শক্তি। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ জনমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছে, আর বিএনপি এনে দিয়েছিল পরনির্ভরতার শৃঙ্খল।
তিনি বলেন, সম্প্রতি চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশ বিএনপির কর্মসূচি পালনে সহযোগিতা করতে চেয়েছে। কিন্তু তারা কোন আইন- কানুনের তোয়াক্কা না করে সংঘাতের মাধ্যমে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা করতে চেয়েছিলো। কর্মসূচিতে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের উপাদান যুক্ত হলে প্রয়োগকারী সংস্থাকে জনস্বার্থে আইন পদক্ষেপ নিতে হয়। আন্দোলনে এখন আর কোন অবজেক্টিভ শর্ত বিরাজমান নেই, বিএনপির সাবজেক্টিভ প্রস্তুতি কি আছে তা গত একযুগ ধরে মানুষ দেখে আসছে। দলটির আন্দোলন এখন কথা নির্ভর ও মিডিয়া সর্বস্ব। শীত-গ্রীষ্ম পেরিয়ে এখন বিএনপি শরতে এসে সরকার হটানোর দিবা স্বপ্ন দেখছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
জিয়াউর রহমানের মরদেহ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়াউর রহমানের মরদেহ নাকি জেনারেল এরশাদ কাঁধে বহন করেছেন, এ ধরনের উত্তর দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করেন বিএনপির মহাসচিব। এরশাদ কফিন বহন করেছেন কিন্তু ভেতরে জিয়ার মরদেহ আছে- তাতো তিনি কখনও বলেননি। জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ থেকে তার মরদেহ রাঙ্গুনিয়া পাহাড়ে কে নিয়ে গিয়েছিলো?-এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।
জিয়াউর রহমানের মরদেহ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব কখনও কোন প্রশ্নেরই জবাব দেননা-জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলকে প্রশ্ন করা হলে মূল প্রসঙ্গ এড়িয়ে সামঞ্জস্যহীন জবাব দেন।
বিএনএনিউজ/আরকেসি