20.7 C
আবহাওয়া
৬:১৫ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রামের বেসরকারি জেটিতে ভিড়লো জাহাজ

চট্টগ্রামের বেসরকারি জেটিতে ভিড়লো জাহাজ

চট্টগ্রামের বেসরকারি জেটিতে ভিড়লো জাহাজ

বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর প্রথম বেসরকারি জেটিতে ভিড়েছে পানামা পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ ‘দিনা ওশান’। আগামীকাল বুধবার থেকে জাহাজটির পন্য খালাস করা শুরু হবে। জাহাজটি জাপানের চিবা বন্দর থেকে বিএসআরএম’র ১৫ হাজার ২২১ টন স্ক্র্যাপ নিয়ে এসেছে।

YouTube player

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় জাহাজটিকে চট্টগ্রাম বন্দরের টাগবোটের সাহায্যে জেটিতে আনা হয়। এর আগে গত ২৩ মার্চ পানামা পতাকাবাহী কার্গো জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে। এক সপ্তাহ পর আজ (মঙ্গলবার) জাহাজটি সফলভাবে কর্ণফুলী ড্রাইডকের জেটিতে ভিড়ে। মেরিটাইম সংস্থা মেরিন ট্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, জাহাজটি প্রায় ১৫৪ ফুট লম্বা এবং সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের।

জানা যায়, জাহাজটি আজ মঙ্গলবার বার্থিং পাওয়ায় প্রায় ১৪ দিনের ওয়েটিং টাইম বাঁচলো। ফলে শিপিং এজেন্টের ১৮ লাখ টাকা সঞ্চয় হল। এই জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে এভারেট বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড এবং পণ্য খালাসে নিয়োজিত আছে বার্থ অপারেটর রুহুল আমিন এন্ড ব্রাদার্স।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির উত্তরে ও বন্দর চ্যানেলের বামে বেসরকারি উদ্যোগে দুইটি জেটি গড়ে তোলা হয়েছে। তারই একটি জেটিতে আজ এমভি ডিনা ওশান জাহাজটি ভিড়েছে। অ্যানসাইন্ট শিপিংয়ের জাহাজটি যথা নিয়মে বন্দরের অভিজ্ঞ পাইলটরা বহির্নোঙর থেকে নিরাপদে জেটিতে নিয়ে আসেন। এ সময় বন্দরের কাণ্ডারী ১, ও কাণ্ডারী ১০ জাহাজটিকে সাহায্য করে। বন্দরের জিসিবির মতো বেসরকারি জেটিতেও কনটেইনার জাহাজও ভিড়ানো সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, বার্থ অপারেটর রুহুল আমিন অ্যান্ড ব্রাদার্সের অধীনে শিগগির জাহাজটি থেকে স্ক্র্যাপ খালাস শুরু হবে। পণ্য আমদানির চাপ বাড়লেও জাহাজ যাতে বহির্নোঙরে অপেক্ষা করতে না হয়, সে জন্যই এই উদ্যোগ। জাহাজ অলস বসে না থাকলে ক্ষতিপূরণ বাবদ বৈদেশিক মুদ্রাও ব্যয় করতে হবে না। দেশের টাকা দেশেই থাকবে।

জানা যায়, জটের কারণে কয়েক বছর ধরে অনিয়মিতভাবে নৌবাহিনী পরিচালিত জাহাজ মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান চিটাগাং ড্রাই ডকের জেটি ব্যবহার করে আসছে বন্দর। এ ছাড়া আমদানিকারকের চাহিদা অনুযায়ী বিচ্ছিন্নভাবে মাঝেমধ্যে আরও কয়েকটি সরকারি সংস্থার বিশেষায়িত জেটি ব্যবহার হতো। তবে বেসরকারি জেটি ব্যবহারের উদ্যোগ এবারই প্রথম।

কর্ণফুলী ড্রই ডক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এমএ রশিদ জানান, গত ২৩ মার্চ পানামা পতাকাবাহী কার্গো জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে। আজ (মঙ্গলবার) জাহাজটি সফলভাবে কর্ণফুলী ড্রাইডকের জেটিতে ভিড়ে। ভবিষ্যতে আরও জেটি বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে বলে জানান তিনি।

বন্দর কর্মকর্তারা জানান, কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজ ভেড়ানোর বিশেষায়িত জেটি রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের তিনটি এবং পাঁচটি সরকারি সংস্থার সাতটি জেটি রয়েছে। বন্দরের জমি লিজ নিয়ে এসব জেটি নির্মাণ করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। কর্ণফুলী ড্রাই ডকের জেটি দুটি নতুন নির্মাণ হয়েছে এ মাসে। এসব জেটি ব্যবহার হলে মাশুলের ভাগ পাবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাও।

বন্দরের তথ্যে দেখা যায়, নতুন দুটি বাদে গত বছর আটটি জেটির ব্যবহারের হার ছিল গড়ে ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ বছরের ২৪৮ দিন এসব জেটি ব্যবহারই হয়নি। নিজেদের পণ্য না থাকায় এসব জেটি খালি ছিল। অন্যদিকে বন্দরের সাধারণ পণ্য ওঠানো-নামানোর নিজস্ব ছয়টি জেটি গত বছর ব্যবহারের হার ছিল সাড়ে ৯৬ শতাংশ। অর্থাৎ জোয়ারের সময় জাহাজ আসা-যাওয়ার বিরতি ছাড়া জেটি খালি ছিল না এক দিনও।

বিএসআরএমের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত জানান, বিএসআরএম এর স্টিল মিলের জন্য জাহাজটি করে স্ক্র্যাপ আনা হয়েছে। তবে প্রাইভেট জেটি হওয়ায় বন্দরের মূল জেটির পাশাপাশি পণ্য খালাসে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে বহির্নোঙরে জাহাজের অপেক্ষার সময় কমবে। ফলে জাহাজের দিনপ্রতি ডেমারেজ চার্জ সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য কারখানায় কাঁচামাল জোগান দেওয়া সহজতর হবে।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ