বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: মাহে রমজানের সময় পবিত্র নগরী মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ এবং মদিনার মসজিদে নববীতে ইফতারে জনসমাগম ও এতেকাফের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি সরকার।চলতি বছরের রমজানের পরিকল্পনার জন্য আয়োজিত দুই মসজিদের পরিচালনা পরিষদের বার্ষিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সৌদি গ্যাজেট।
মসজিদ দুইটির পরিচালনা পরিষদের প্রধান শেখ আব্দুল রহমান আল-সুদাইস বলেছেন, মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে গ্র্যান্ড মসজিদের মুসল্লিদের ইফতার এবং রাতের খাবার দেয়া হবে। মসজিদে নববীতে সেহরির জন্য খাবার বিতরণের অনুমতি দেয়া হবে না। রমজানের সময় পূর্ব-সতর্কতামূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধের দিকে মনোযোগ দেয়া হবে।
তিনি বলেন, পরিচালনা পরিষদ হজযাত্রী এবং মুসল্লিদের গ্রহণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। পবিত্র কাবার চারপাশ প্রদক্ষিণ কেবলমাত্র ওমরাহযাত্রীদের জন্য নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরের পাঁচটি স্থান এবং এর পূর্বপ্রাঙ্গণ নামাজের জন্য নির্ধারিত থাকবে।
মসজিদ পরিচালনা পরিষদের প্রধান জানান, পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদে অনুবাদক নিয়োগ দেয়া হবে; যারা মুসল্লিদের প্রশ্ন আলেমদের কাছে পৌঁছে দেবেন। প্রশ্ন অনুযায়ী আলেমদের ফতোয়া অনুবাদ করবেন তারা। শুক্রবারের জুমা’র খুতবার সময় ইশারা ভাষার দোভাষীরাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানান শেখ আব্দুল রহমান আল-সুদাইস।
এছাড়া, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ, সামাজিক দূরত্ব বিধি পালন এবং মাস্ক পরা। হজযাত্রী ও মুসল্লিদের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষার বিষয় বিবেচনায় এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানায় সৌদি গ্যাজেট।
এদিকে, সৌদি সরকার আগামি ১৭ মে পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত রাখায় দেশটির বাইরের পরিদর্শকরা ওমরাহ পালন করতে পারবেন না। দেশটির বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ (জিএসিএ) বলছে, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুনরায় খুলে দেয়া হবে এবং রমজানের পর ১৭ মে থেকে পুনরায় আন্তর্জাতিক বিমানের ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে।
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গত বছর হজযাত্রীদের সংখ্যা একেবারে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনে সৌদি সরকার । প্রত্যেক বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখো মানুষ হজ পালনের অনুমতি পেলেও গত বছর সেই সংখ্যা ছিল মাত্র কয়েক হাজার।আর সাত মাস পর গত বছরের অক্টোবরে ওমরাহ পালনে করোনা ভাইরাসের নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। শুধুমাত্র দেশটির নাগরিক এবং বাসিন্দারা ওমরাহ পালনের অনুমতি পান। যদিও সেই সংখ্যা দিনে ৬ হাজারে নামিয়ে আনা হয়।
বিএনএনিউজ/আরকেসি