28 C
আবহাওয়া
৬:০৯ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে দেশের ২৯ জেলা

সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে দেশের ২৯ জেলা

সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে দেশের ২৯ জেলা

বিএনএ, ঢাকা: দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।এই মুহূর্তে অন্তত ২৯টি জেলা করোনা ভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে বলেও জানানো হয়।

এসব জেলার মধ্যে  ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ,সিলেট, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর,গাজীপুর,  টাঙ্গাইল,  নীলফামারী, মাদারীপুর, নওগাঁ, রাজশাহী রয়েছে।

সোমবার (২৯ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়েছে।আর এই সময়ের মধ্যে ৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার তথ্যও জানান কর্মকর্তারা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, দেশের ২৯টি জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বত্র মানুষে মানুষে করোনার সংক্রমণ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। দেশের শতভাগ মানুষ মাস্ক পরাসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সাংবাদিকদের বলেন, গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে এবং সংক্রমণের মাত্রা খুব দ্রুত বাড়ছে।মার্চের ১৩ তারিখে সংক্রমণের মাত্রা উচ্চ ছিল ৬টি জেলায়, ২০ তারিখে দেখা গেছে ২০টি জেলা ঝুঁকিতে আছে। আর মার্চের ২৪ তারিখে দেখা গেছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার উচ্চ এমন জেলার সংখ্যা ২৯টি।ফলে বোঝাই যাচ্ছে, সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে।

তিনি বলেন, সংক্রমণের উচ্চ হার সামাল দিতে এখন স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।প্রতি জেলায় করোনা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কমিটি রয়েছে এবং এসব কমিটি স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে মিলে সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য এক সঙ্গে কাজ করবে বলে জানান মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, যেসব জেলায় উচ্চ সংক্রমণ রয়েছে, প্রয়োজনে সেসব জেলার সঙ্গে আন্তঃজেলা যোগাযোগও সীমিত করা হতে পারে। তবে সেটি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন জেলার পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে।এছাড়া, প্রয়োজন হলে স্থানীয়ভাবে লকডাউন আরোপ করা হতে পারে, তবে সে ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট জেলা তাদের পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে।সংক্রমণ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্য করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে বলে জানানো হয়।

করোনা ভাইরাস থেকে ঝুঁকির মাত্রা প্রতি সপ্তাহেই বিশ্লেষণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া তথ্য, রোগীর সংখ্যা, সংক্রমণের মাত্রা – এসবের ওপর ভিত্তি করে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা চিহ্নিত করে অধিদপ্তর।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার সরকার ১৮ দফা নতুন নির্দেশনা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে সব ধরণের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জনসমাগম সীমিত করা হয়েছে।পাশাপাশি এর মধ্যে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে জনসমাগম সীমিত করার নির্দেশনাও রয়েছে । সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এই ১৮ দফা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এদিকে,সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে হাসপাতালগুলোতে ক্রমেই করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় কোভিড-ডেডিকেটেড হাসপাতালের সংখ্যা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।এছাড়া, রোগীদেরকে নিজ নিজ জেলার হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য  অনুরোধ জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত ৩০ নভেম্বরের পর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। কিন্তু চলতি বছরের  মার্চের শুরু থেকে দৈনিক শনাক্ত রোগী, মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ