আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সিপিডি খুবই আন্তরিকভাবে প্রফেসর ইউনূসকে নিয়ে মাঠে নেমেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য এদেশের মানুষ এত সচেতন যে, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেছেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সিপিডি একটি রাজনৈতিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে চায়। এর মূল্য এদেশে সিপিডিকে দিতে হবে। জনগণ কাউকে ক্ষমা করে না।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) কোনো ধোয়া তুলসী পাতাও নয়, নিরপেক্ষও নয়। সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বলে দাবি করেছেন
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সিপিডির অনেক কর্মকর্তা একটি রাজনৈতিক দলের অংশ হিসেবে কাজ করে। সেই লক্ষ্য নিয়েই তারা গবেষণা কার্যক্রম চালায়। কোন পদ্ধতিতে তারা গবেষণা কার্যক্রম চালায় এটি খতিয়ে দেখতে হবে।
গত ২৯ জানুয়ারি এক জরিপের ভিত্তিতে সিপিডি দাবি করে যে বৈদেশিক মুদ্রার অস্থিতিশীলতা, মূল্যস্ফীতির মতো সমস্যা সামনে এলেও উদ্যোক্তারা ‘দুর্নীতিকেই’ দেশে ব্যবসার জন্য বড় বাধা হিসেবে দেখছেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি উধাও হয়ে গেছে, একবারে দুধের মতো স্বচ্ছ- এটা আমরা কোনোদিনই দাবি করি না। উন্নয়নশীল দেশে কমবেশি দুর্নীতি হবেই। বেকারত্ব অনেক বেশি, দারিদ্র অনেক বেশি। দুর্নীতি পৃথিবীর সব দেশেই আছে। আমেরিকার মতো দেশে দুর্নীতি আছে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশে কমবেশি দুর্নীতি আছে। কিন্তু আমরা যে প্রবৃদ্ধিটা ধরে রেখেছি, এটিকে আপনারা কীভাবে দেখবেন! এটা কী করে হলো, এটা কী কোনো জাদু বলে! এটা কি আমরা বানিয়ে দিয়েছি! এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মাল্টিল্যাটারাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনার, ডোনাররা- তারাই তো এটি বলছে। তারাই তো মূল্যায়ন করছে।
বিএনএনিউজ২৪,জিএন