বিএনএ ঢাকা: জাতীয় সংসদে সদ্য পাস হওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল- ২০২২ এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। শনিবার (২৯শে জানুয়ারি) এই বিলে সই করেন রাষ্ট্রপতি। রোববার (৩০ জানুয়ারি) তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হলো।
এখন আইন অনুযায়ী, প্রধান ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের শূন্য পদে নিয়োগদানের জন্য আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি হবে। কমিটির সদস্যদের মধ্যে থাকবেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, বাংলাদেশ কর্ম-কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুইজন বিশিষ্ট নাগরিক। তাদের মধ্যে একজন নারী সদস্যও থাকবেন বলে আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সার্চ কমিটির কাজ সম্পর্কে আইনে বলা হয়েছে, এই কমিটি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবে। আইনে যোগ্যতা, অযোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও সুনাম বিবেচনা করে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবেন তারা।
আইনে বর্ণিত যোগ্যতা-অযোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, সুনাম ও সততা বিবেচনা করে প্রতি পদের জন্য ২ জনের নাম প্রস্তাব করবেন সার্চ কমিটি। সেখান থেকে প্রতি পদের জন্য একজনকে বেছে নিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি।
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মনোনীত হবার জন্য তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হবেন। এছাড়াও অন্যান্য যোগ্যতা হিসেবে তাদেরকে ৫০ বছরের বেশি, কোন সরকারি, বিচার বিভাগ, আধা-সরকারি, বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত পদে বা পেশায় কমপক্ষে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, আগামি ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই রাষ্ট্রপতিকে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। সেই কমিশনের অধীনেই হবে আগামি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী এখন যেকোনো সময়ে সার্চ কমিটি গঠন করে দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি