বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ১৫টি হাসপাতালে মিলবে করোনা ভ্যাকসিন। এছাড়া ১৪ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও মিলবে ভ্যাকসিন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, রোববার ৩৮ কার্টনে করে চট্টগ্রামে ৪ লাখ ৫৬ হাজার করোনার ভ্যাকসিন আসবে। এগুলো ইপিআই স্টোরে রাখা হবে। করোনার ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচিও পরিচালিত হবে বস্তুতপক্ষে ইপিআই কর্মসূচির মতো করেই। চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের(ইউএনও ) তত্ত্বাবধানে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। রেজিস্ট্রেশনের হিসাব মতে চাহিদা অনুযায়ী ইপিআই স্টোর থেকে সিটি কর্পোরেশন এবং উপজেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে।
সিভিল সার্জন বলেন, রোববার ভ্যাকসিন এলেও সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন প্রদান সম্ভব হবে না। এ কাজে নিয়োজিতদের প্রশিক্ষণ শেষে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হতে পারে। প্রাথমিকভাবে ১৫ টি ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্র চূড়ান্ত করেছে চসিক করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটি। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নগরীর এ ১৫ কেন্দ্রে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম চলবে। ভ্যাকসিন প্রদানে নিয়োজিত থাকবে ৪২ টি টিম। ভ্যাকসিন প্রদানকারী হিসেবে ২ জন মিড ওয়াইফ, স্টাফ নার্স বা সিনিয়র স্টাফ নার্স এবং ৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের সমন্বয়ে ৬ জন করে সদস্য থাকবেন প্রতিটি টিমে।
চট্টগ্রামের যে ১৫ হাসপাতালে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, সেগুলো হলো— চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম সেনানিবাস হাসপাতাল, চট্টগ্রাম পুলিশ হাসপাতাল, সিটি কর্পোরেশন জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম নৌ-বাহিনী হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বিমান বাহিনী হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতাল, চসিক বন্দরটিলা হাসপাতাল, চসিক মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতাল, চসিক ছাফা মোতালেব মাতৃসদন হাসপাতাল, ইউএসটিসি হাসপাতাল, সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
অন্যদিকে চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে দুটি করে টিম টিকাদানে নিয়োজিত থাকবে।
জানা যায়, করোনার ভ্যাকসিন পেতে অগ্রাধিকার তালিকাভুক্তদের অবশ্যই অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ ভ্যাকসিন পাবে না। এজন্য ‘সুরক্ষা’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। ভ্যাকসিন পেতে তালিকাভুক্তরা সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব এপ্লিকেশনে (www.surokkha.gov.bd) গিয়ে অথবা মোবাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিবন্ধন করা যাবে। এছাড়া অ্যাপটি বিনামূল্যেই ডাউনলোড করা যাবে।
রেজিস্ট্রেশন করতে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বর দিয়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের সময় কেন্দ্রও পছন্দ করা যাবে। রেজিস্ট্রেশনকারী ব্যক্তি করোনার গ্রহণের তারিখ ও কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তার মোবাইল ফোনে পেয়ে যাবে। নির্দিষ্ট তারিখে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভ্যাকসিন নিতে পারবে।
বিএনএনিউজ/মনির