একদিকে শীতকাল(ডিসেম্বর) অন্যদিকে ভোর বেলা।কনকনে শীতের সূর্যের আলোয় যখন পৃথিবী আলোকিত, তখন ধান গাছের একটি খড়ের গাদা থেকে বাচ্চা শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পেল প্রতিবেশিরা। একজন দুজন করে খড়ের গাদার পাশে গিয়ে লোকজন দেখতে পান, বেশ কয়েকটি কুকুর ছানার পাশেই সদ্য জন্ম নেয়া এক নবজাতক কান্না করছে।
শীতের রাতে খড়ের গাদায় মনুষ্য সন্তান
পরিত্যক্ত নবজাতক শিশুটিকে এক মাদী কুকুর খড়ের আবর্জনা দিয়ে পাশে শুয়ে নবজাতককে উষ্ণতা দিয়ে রেখেছে। সাথে নিজের ছানাগুলোও গাদাগাদি করে শুয়ে রয়েছে।
শিশুটি রাতের বেলায় কোন পোশাক ছাড়াই হৃদয়বিদারকভাবে নির্জন স্থানে শীতের রাতে কুকুরের সাথে রাত কিভাবে পার করলো তা ভেবে স্থানীয়রা অভাক। ঘটনার সময় দেখা যায়, নাভির সাথে নাড়ি তখনও সংযুক্ত ছিল।
সাধারণত মাদী কুকুর বাচ্চা জন্ম দেয়ার পর খুব হিংস্র হয়ে থাকে, কাউকেই ছানাদের কাছে ঘেষতে দেয় না।
সেই হিংস্র মাদী কুকুর ও তার শিশু বাচ্চা ছানারা চাইলে এই মনুষ্য কন্যা সন্তানটিকে খাদ্য হিসেবে নিতে পারতো ! কিন্ত বিধিধাম। রাখে আল্লাহ মারে কে।
স্থানীয়রা জানান, ভাগ্যগুনে কোন ক্ষতি ছাড়াই মেয়ে নবজাতকটি বেঁচে গেছে।
এই ঘটনা ভারতের ছত্রিশগড় প্রদেশের। বুধবার খবরটি ফলাও করে প্রকাশ করে ব্রিটেনের পত্রিকা দি মিরর।
স্থানীয় প্রেমনাথ বলেন, এটি একটি ‘অলৌকিক ঘটনা’। কারণ শীতের রাতে অন্যান্য বিপথগামী দুষ্ট কুকুরগুলো রাস্তায় না থেকে নিজেরা লুকিয়ে থাকে।তিনি বলেন, অবাক হলাম যে, রাতভর সাথে থাকলেও জীবন্ত শিশুটির একটুও ক্ষতি করে নি কুকুর ছানাগুলো।
প্রতিবেশিরা স্থানীয় সরকারী সংস্থা পঞ্চায়েতকে ঘটনা অবহিত করে। পরে পুলিশ সদস্যরা নবজাতকটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ডাক্তারদের দ্বারা পরীক্ষা করার পর শিশুটিকে চাইল্ড লাইন প্রকল্পে প্রেরণ করেছে।
প্রেমনাথ বলেন, শিশুটির জন্মদাতারা বাবা-মা নয়, তারা অপরাধী। মেয়েটির নাম রাখা হয়েছে আকাঙ্খা। ঘটনাটি তদন্ত চলছে এবং পুলিশ তার বাবা-মাকে খুঁজছে।
আরও পড়ুন : মানুষের বাচ্চার মত লোমহীন, দু’পায়ের ছাগল ছানা
থাই জঙ্গলে পাওয়া গেল জীবন্ত নবজাতক
এর আগে গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডের পর্যটন এলাকা কারাবির একটি জঙ্গলে পরিত্যক্ত অবস্থায় এক জীবন্ত শিশুকে পাওয়া যায়।
পুলিশ উদ্ধার কর্মীরা ধারণা করছেন, কমপক্ষে দুদিন আগে নবজাতকটিকে সেখানে ফেলে যায় তার মা কিংবা অন্য কেউ।
উদ্ধারের সময় দখা যায়, কেঁচো এবং পোকা মাকড়ের আক্রমনে শিশুটির শরীর যা তা অবস্থা। শিশুটির কান্না শুনে একজন কৃষক পুলিশ ও উদ্ধার কর্মীদের খবর দেন। জঙ্গলে বিষাক্ত সাপ ও ভয়ঙ্কর প্রাণীর চরাচল থাকলেও ভাগ্যক্রমে শিশুটি বেঁচে যায় বলে কৃষকটি জানান।
হাসপাতালে নেয়ার পর দেখা যায় শিশুটি পানি শূণ্যতায় ভুগছে। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং ধীরৈ ধীরে সে সুস্থ হয়ে ওঠছে।
অন্যদিকে নবজাতককে জঙ্গলে ফেলে দেয়া , সে মাকে কারাবির পুলিশ খুঁজছে।
সাবধান। আবেগ প্রবন হবেন না। দেখুন কিভাবে শিশুটিকে উদ্ধার করা হলো:
বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন