বিএনএ, ঢাকা: মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক (ডিজি) প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুককে ২৪০টি চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু কার্যকর কোনও ফল আসেনি। তাই মাউশির ডিজিকে তলব করেছে দুদক। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় ড. গোলাম ফারুককে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, মাউশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ আসে। তারমধ্যে অনেক অভিযোগ দুদকের তফসিলভুক্ত নয়। সেসব অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে মাউশি মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। দুদকের চিঠিতে উল্লেখ করা অভিযোগগুলো বর্তমানে কী অবস্থায় আছে সেসব জানতেই মাউশি ডিজিকে ডাকা হয়েছে।
তিনি বলেন, মাউশি’র বেশকিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিধি লঙ্ঘন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে। এরমধ্যে যেসব অভিযোগ দুদকের তফসিলভুক্ত, সেগুলো আমলে নিয়ে দুদক অনুসন্ধান করে।
জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের বিধি-বিধান লঙ্ঘন ও নানা অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে। এর মধ্যে যেসব অভিযোগ দুদকের তফসিলভুক্ত, সেগুলো আমলে নিয়ে দুদক অনুসন্ধান করে। আর যেগুলো দুদকের তফসিলভুক্ত নয়, সেগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে মাউশি কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠায় দুদক। এভাবেই ২৪০টি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দুদকের কর্মকর্তারা জানান, ২৪০টি চিঠিতে উল্লেখ করা অভিযোগ মাউশি তদন্ত করেছে কিনা, তদন্ত করা হলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা, তদন্ত না করা হলে ওইসব অভিযোগ কি অবস্থায় আছে- এসব দুদকের অজানা। সেগুলো জানতে চাওয়া হবে মহাপরিচালকের কাছে।
বিএনএ/এমএফ