বিএনএ,নোয়াখালী:দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে পৌঁছেছে ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা।মঙ্গলবার(২৯ ডিসেম্বর)দুপুর ১টার দিকে তাদের বহনকারী ছয়টি জাহাজ সেখানে নোঙর করে। এ নিয়ে দুই দফায় ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে নতুন এ ক্যাম্পে নেয়া হল।ঘাটে তাদের স্বাগত জানান নৌবাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সংবাদ মাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এমরান হোসেন।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে এসব রোহিঙ্গাকে নৌবাহিনীর ছয়টি জাহাজে তোলা হয়। পরে সকাল সোয়া ৯টার দিকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে পতেঙ্গা ত্যাগ করে তাদের বহনকারী জাহাজ। স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক আগ্রহী এমন ৪২৭টি পরিবারকে এ দফায় সেখানে নেয়া হয়েছে।
উখিয়ে মূল ক্যাম্প ছাড়াও পুরো ৩৭টি ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা ট্রানজিট পয়েন্টে গত রোববার বিকেল থেকে আসতে শুরু করে।বাকিরা সোমবার(২৮ ডিসেম্বর) সকাল ও দুপুরে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে ৩৭টি বাসে করে চট্টগ্রামে আনা হয়।প্রথম দফার মতো এবারও উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ এলাকা থেকে তিন দলে ভাগ করে বাসগুলো চট্টগ্রামে আসে। রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র্যাব, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহারা ছিল।
গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হয়। সেবার নৌবাহিনীর মোট আটটি জাহাজে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পর্যায়ক্রমে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।সেখানকার অত্যাধুনিক আবাসন প্রকল্পে রোহিঙ্গাদের এই দলটি থাকবে।এরই মধ্যে ভাসানচরে তিন মাসের খাদ্যপণ্য মজুদ করা হয়েছে।
সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য সেখানে মহিষ, ভেড়া, হাঁস, কবুতর পালন এবং বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি আবাদ করা হচ্ছে। পরীক্ষামূলকভাবে ধান চাষও করা হচ্ছে। প্রকল্পটিতে যেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৬০ শরণার্থী বসবাস করতে পারেন সে লক্ষ্যে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। ১২০টি গুচ্ছগ্রামে ঘরের সংখ্যা ১ হাজার ৪৪০টি।সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি