বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৫টি র্যাম্প আপাতত নির্মাণ করা হচ্ছে না। পরবর্তীতে নির্মাণের সুযোগ রেখে আপাতত ৯টি র্যাম্প নির্মাণের পরই প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। মূল নকশা থেকে ৫টি র্যাম্প বাদ দেওয়া হলেও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কানেক্টিভিটিতে বড় কোন সমস্যা হবে না বলেও মনে করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রথম বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সিডিএ সূত্র জানিয়েছে, নগরীর যানজট নিরসনসহ বহুমুখী লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নগরীর লালখান বাজারে ইতোপূর্বে নির্মিত আক্তারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের সাথে যুক্ত হবে। এতে পতেঙ্গা থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত ২২ কিলোমিটারেরও বেশি দৈর্ঘ্যের ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে শহরের অধিকাংশ যানবাহন চলাচল করবে। ইতোমধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, আমাদেরকে ৯টি র্যাম্পের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য বোর্ড থেকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। আমরা চলমান কাজগুলো দ্রুত শেষ করে রাস্তা সংস্কার করে দেবো। বাকি ৫টি র্যাম্প পরবর্তীতে নির্মাণের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। ওগুলোর ব্যবস্থা থাকবে, যাতে ভবিষ্যতে প্রয়োজন দেখা দিলে সেগুলো নির্মাণ করা যায়।
উল্লেখ্য, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে গত ২৮ আগস্ট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। যানবাহন চলাচলে কোথাও কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা সেগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিএনএনিউজ/আরএস/শাম্মী