বিএনএ, নোবিপ্রবি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন বিভাগে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিভাগগুলো হলো- অর্থনীতি, ইংরেজি ও বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ। নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম এসব কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) নোবিপ্রবি অর্থনীতি বিভাগের কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ও অর্থনীতি’ বিষয়ক দেয়ালিকা প্রদর্শনী প্রতিযোগীতা, পুরষ্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা। ইংরেজি বিভাগের কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পোস্টার প্রদর্শনী, ফটো গ্যালারি উন্মোচন ও আলোচনা সভা এবং বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বৃক্ষরোপন ও আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানসমূহে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন যথাক্রমে অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শিরিন আক্তার ও বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সুবোধ কুমার সরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান ভূঞা। ইংরেজি বিভাগের অলোচনাসভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দিব্যদ্যুতি সরকার। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, “শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, স্বাধীন বাংলার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি দেশ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে। তোমাদের জীবনের লক্ষ্য স্থির করতে হবে এবং আদর্শবান হতে হবে। যে মানুষ সব সময় বাঙ্গালির স্বার্থে স্বপ্ন দেখতেন কখনও নিজের স্বার্থে কিছু করেননি। তাকেই নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছে চির ঋণী। বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।”
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী বলেন “হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। বঙ্গবন্ধুর মূল গুণ ছিল ভদ্রতা। তিনি সকলকে আপনি বলে সম্বোধন করতেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেন তার পূর্বে বাংলাদেশের মানুষের যে মাথাপিছু আয় ছিল, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর তা বহুগুণ বেড়ে যায়। এতে আমরা অল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সফলতার নিদর্শন দেখতে পাই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।”
এসময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন “আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার হত্যাকারীদের বিচার যেন না হয় সে জন্য ঘাতকচক্র বিচার প্রক্রিয়াকে বন্ধ করে দিয়েছিল। ঘাতকচক্রের অনেকেই আমেরিকা, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু ঘাতকদের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার অধিকাংশ খুনিদের বিচার এই বাংলার মাটিতে সম্পন্ন হয়েছে। আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমি বলতে চাই বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিরা যে যেখানে লুকিয়ে আছে সকলকে বিচারের আওতায় আনা হোক। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।”
ইংরেজি বিভাগের অলোচনাসভায় মূখ্য আলোচক বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দিব্যদ্যুতি সরকার বলেন, “৩০ এর দশকে জন্ম নেওয়া ৫ জন ব্যক্তির অবদান বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনস্বীকার্য। তারা হলেন বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা। খুনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসাই ছিলো ঘাতকদের উদ্দেশ্য। তারা চেয়েছিলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশ শাসন করবে। আমরা সেইসব ঘৃণ্য খুনী ও চক্রান্তকারীদের ধিক্কার জানাই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।”
পরে অর্থনীতি বিভাগের দেয়ালিকা প্রদর্শনী প্রতিয়োগিতার বিজয়ীদের মাঝে এবং বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে অয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
বিএনএ/শাফি, এমএফ