বিএনএ,সাভার :ঢাকার ধামরাইয়ে পরিকল্পিতভাবে আশ্রয় কেন্দ্রে (আদর্শ গ্রাম) চুন্নু মিয়া ও দাউদ আলীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন। সন্ত্রাসী হামলায় ৮জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা যায়।বুধবার (২৮ জুলাই) ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের উত্তর বাস্তা ৩নং আদর্শ গ্রামে (আশ্রয় কেন্দ্র) সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ধারালো অন্ত্র দিয়ে উপর্যুপোরি কুপিয়ে ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে জরিনা বেগম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলায়ার হোসেন সহ ৭জনকে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করে ওই হামলাকারি ভুমিদস্যুরা। এলাকাবাসী ও পুলিশ সংঘবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করতে এগিয়ে আসে। এসময় চুন্নো মিয়া নামে এক হামলাকারি আটক হলেও অপরাপর হামলাকারিরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আহতরা হলেন, বীর মুক্তিযোদ্দা মোঃ দেলায়ার হোসেন, জরিনা বেগম, মোঃ আব্দুল কাইয়ুম মিয়া, মোঃ আবু মুসা মিয়া, মোঃ ফয়সাল হোসেন, মজিরন নেসা ও পান্নো মিয়া। উভয় ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের উত্তর বাস্তা ৩নং আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন বলেন, দাউদ আলী ও চুন্নু মিয়া পরিকল্পিত ভাবে আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ হামলার মূল কারণ হচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্রের তিনটি পুকুর। যা অবৈধভাবে দখল করে খাচ্ছে দাউদ আলীসহ ১০জন সন্ত্রাসী। সেই অবৈধ দখলে আমি প্রতিবাদ করায় আমাদের উপর একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
এরআগে, মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে আশ্রয় কেন্দ্রের মৃত মঙ্গল আলীর ছেলে সেলিম হোসেনকে (৩৮) একা পেয়ে মারধর করে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা দাউদ আলীসহ ৪-৫জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এঘটনায় দাউদ আলীসহ ৪-৫জনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সেলিমের অভিযোগের ভিত্তিতে ধামরাই থানাধীন কাওয়ালিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক মোঃ মজিবুর রহমান ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে যায়। পুলিশ তদন্ত করে আসার পর সন্ত্রাসী হামলা সংঘঠিত হয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়।
আশ্রয় কেন্দ্রের খাস জমিতে তিনটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুর তিনটি জোরপূর্বক অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে দাউদ আলীসহ ১০জন স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা। পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আশ্রয় কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে। অবৈধ দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে। এ নিয়ে একাধিকবার স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল, জাতীয় পত্রিকা সহ অনলাইন নিউজ পোর্টালে খবর প্রকাশিত হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যার ফলে আজ এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
কাওয়ালিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ রাসেল মোল্লা বলেন, এবিষয়ে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বিএনএ/ইমরান খান,ওজি