29 C
আবহাওয়া
১:১১ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-৭৭ (কুষ্টিয়া-৩)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-৭৭ (কুষ্টিয়া-৩)


বিএনএ ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক দল গুলোর আসন ভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে কুষ্টিয়া-৩  আসনের হালচাল।

কুষ্টিয়া-৩ আসন 

কুষ্টিয়া-৩ সংসদীয় আসনটি কুষ্টিয়া সদর ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা এবং পৌর এলাকা নিয়ে  গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ৭৭ তম আসন।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির আব্দুল খালেক চন্টু বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ১৫ হাজার ২ শত ৭৯ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫ শত ৭৮ জন। নির্বাচনে বিএনপির আব্দুল খালেক চন্টু বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৬২ হাজার ১ শত ৮০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের আনোয়ার আলী। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩৩ হাজার ৮ শত ৬২ ভোট।

৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির সোহরাব উদ্দিনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। এই নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে। নির্বাচনে বিএনপির সোহরাব উদ্দিনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম  সংসদ নির্বাচন:বিএনপির আব্দুল খালেক চন্টু বিজয়ী 

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম  সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ১৭ হাজার ৫ শত ৪ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ২ শত ৬২ জন। নির্বাচনে বিএনপির আব্দুল খালেক চন্টু বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৭২ হাজার ২ শত ৬০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের আনোয়ার আলী। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৫৫ হাজার ৮ শত ৮৯ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির সোহরাব উদ্দিন বিজয়ী হন

২০০১ সালের ১ অক্টোবর  অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫ শত ৪৫ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ২৭ হাজার ২শত ৫৭ জন। নির্বাচনে বিএনপির সোহরাব উদ্দিন বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭ শত ৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৮৪ হাজার ২শত ৮৯ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের কে. এইচ রশীদুজ্জামান দুদু বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন   ৩ লাখ ৭  হাজার ৪ শত ৯৪ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬ শত ৬৫ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কে. এইচ রশীদুজ্জামান দুদু বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮ শত ৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির সোহরাব উদ্দিন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২৭ হাজার ৮ শত ১৩ ভোট।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মাহবুব উল আলম হানিফ বিজয়ী হন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন  ৩ লাখ ৩৩  হাজার ৫ শত ৯৪ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ১১ হাজার ৯ শত ৮৮ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৫ হাজার ৫ শত ৭৭ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনএফ এর রকিবুর উর রহমান খান চৌধুরী। টেলিভিশন প্রতীকে তিনি পান মাত্র ৬ হাজার ৪ শত ১১ ভোট। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মাহবুব উল আলম হানিফ বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩  লাখ ৭২ হাজার ৮ শত ৪৮  জন। ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫ শত ৮৩ জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির জাকির হোসেন সরকার, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিনুল ইসলাম, টেলিভিশন প্রতীকে বিএনএফ এর আসাদুল হক, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পাটির উজ্জল আহসান, মই প্রতীকে বাসদের  শফিউর রহমান শফি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৯৬ হাজার ৫ শত ৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির জাকির হোসেন সরকার। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ১৪ হাজার ৩ শত ৮১ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কুষ্টিয়া-৩ সংসদীয় আসনে পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদে টানা বিএনপি এবং দশম ও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়।

YouTube player

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর কুষ্টিয়া-৩ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬৮.৫৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২.৯৫%, বিএনপি ৪২.১৩%, জাতীয় পার্টি ২.৪৬ %,  জামায়াতে ইসলামী ১৮.৭৪%,  স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১৩.৭২% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৪.২৬% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩০.৫০%, বিএনপি ৩৯.৪৩%,  জাতীয় পাটি ১১.১৯%, জামায়াতে ইসলামী ১৬.৯১ %,  স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.৯৭% ভোট পায়।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮২.৭৮% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৭.০৯%, ৪দলীয় জোট ৬১.০৫%, জাতীয় পার্টি ১.৪৫%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৪১%  ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৮.৮৯% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৫০.১০%, ৪ দলীয় জোট ৪৬.৯৩%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দল ২.৯৭% ভোট পায়।

কুষ্টিয়া-৩ (কুষ্টিয়া সদর):  সংসদীয় আসনে ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন  বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এবং ৭২ এর সংবিধানের অন্যতম রচয়িতা ব্যরিস্টার আমীরুল ইসলাম। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন  জেনারেল জিয়াউর রহমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান, ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে ন্যাপের সৈয়দ আলতাফ হোসেন এবং ১৯৮৮ সালে চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির বদরুদ্দোজা গামা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আসনটি ছিল বিএনপির দখলে। ওই সময় চার মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হন পর্যায়ক্রমে বিএনপির আবদুল খালেক চন্টু ও অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন। ২০০৮ সলের নবম সংসদ নির্বাচনে আসনটি চলে যায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী খন্দকার রশিদুজ্জামান দুদুর কাছে।

২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের মাধ্যেম প্রথম সংসদ সদস্য হন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তার পৈতৃক বাড়ি কুষ্টিয়া-২ সংসদীয় আসনের ভেড়ামারা উপজেলার ষোলদাগ এলাকায় হলে  আওয়ামী লীগ  দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেয়। এ আসন থেকে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি দ্বিতীয় দফা সংসদ সদস্য হন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সরকার আমলে উন্নয়নের ছোঁয়াবঞ্চিত ছিল কুষ্টিয়া জনপদ। মাহবুব-উল আলম হানিফ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর কুষ্টিয়া জেলায় বিশেষ করে সদর উপজেলায়  শুরু হয় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। উল্লেখযোগ্য উন্নয়নকাজের মধ্যে কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ, শহর বাইপাস সড়ক, সুইমিংপুল কমপ্লেক্স এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমির অত্যাধুনিক কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ এখন দৃশ্যমান। ফোর লেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজও এগিয়ে চলছে।

দৈব কোনো ঘটনা না ঘটলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম  হানিফের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি এক প্রকার নিশ্চিত। তারপরও এই আসনের আওয়ামী নেতারা মনোনয়নের জন্য লবিং- গ্রুপিং অব্যাহত রেখেছেন।

আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিএমএ জেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ডা. এ এফ এম আমিনুল হক রতন।

বিএনপি থেকে এ আসনে মনোনয়ন চাইবেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন এবং কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক ও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার।

জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নাফিজ আহমেদ খান টিটু। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ ইনু) থেকে কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন মনোনয়ন চাইবেন।

তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, পদ্মা-গড়াই বিধৌত কুষ্টিয়া-৩ আসনটি বিএনপির শক্ত ঘাঁটি। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এ আসনটি ছিল বিএনপির দখলে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন ১৪-দলীয় জোটের প্রার্থী কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার রশিদুজ্জামান দুদু। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। ফলে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম  হানিফ খুব সহজে বিজয়ী হন। একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও কারচুপির অভিযোগে ভোটের দিন সকালে সরে দাঁড়ান বিএনপি প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ৭৭ তম কুষ্টিয়া-৩ সংসদীয় আসনে বিএনপি চাইবে তাদের হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার করতে। অন্যদিকে  আওয়ামী লীগও মরিয়া থাকবে আসনটি ধরে রাখতে।

বিএনএ/ শিরীন, ওজি,ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ