লাইফস্টাইল ডেস্ক: ঘোল পানে নাস্তানাবুদ নয়, বরং নানান পুষ্টিগুণের কারণে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে। ইংরেজিতে বলে ‘বাটারমিল্ক’। তবে বাংলায় ‘ঘোল খাওয়া’র অর্থ যতই নেতিবাচক হোক, এই পানীয় শরীরের জন্য ভালো।
চলতি মৌসুমে গরম থেকে আপাতত রেহাই পাবার কোনো লক্ষণ নেই। আরও সপ্তাহখানেক চলতে পারে তাপপ্রবাহ। এমন তপ্ত দিনে ভরসা রাখতে পারেন ঘোলে। রোদ থেকে ঘরে ফিরে চুমুক দিতে পারেন ঠান্ডা এই পানীয়তে। দেখবেন নিমেষেই দূর হবে ক্লান্তি। আর স্বাদও অতুলনীয়।
গন্ধরাজ ঘোল: একটি মিক্সারে পানি, দই, চিনি আর বিট লবণ নিন। তারপর ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার একটা গ্লাসে ঢেলে তাতে মেশান গন্ধরাজ লেবুর রস। আর উপরে দিয়ে দিন এই লেবুর কয়েকটি পাতা কুচি ও বরফ। তারপর পরিবেশন করুন।
পুদিনা ঘোল: প্রথমে একটা ব্লেন্ডারে শুকনা কিছু জিরে ভেজ ব্লেন্ড করে নিন। তারপর একটা পাত্রে দই, লবণ আর পুদিনা পাতা দিন। এগুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। পরিমাণমতো পানি মিশিয়ে আবার ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে ঢেলে নিন। তাতে আগে করে রাখা জিরের গুড়া ও বরফ ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। কিছু পুদিনা পাতা উপরে দিয়ে পরিবেশন করুন।
শসার ঘোল: প্রথমে শসার খোসা ছাড়িয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। তারপর ব্লেন্ডারে শসার কুচি, কাঁচা মরিচ, দই, লবণ, চিনি আর জিরের গুড়া নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এই মিশ্রণে অল্প পরিমাণে পানি আর আইস কিউব দিয়ে ফের ব্লেন্ড করুন। তারপর ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
ঘোলের উপকারিতা
ঘোলে রয়েছে প্রোটিন যা ত্বক ভালো রাখে, পেশি গঠন করে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এক কাপ বা ২৫৪ মি.লি. ঘোলে থাকে ৮ গ্রাম প্রোটিন, তিন গ্রাম চর্বি, ৯৮ কি.লো ক্যালোরি, শূন্য আঁশ ও ১২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেইট। এছাড়াও, বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন ঘোলে রয়েছে পটাসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, প্রোবায়োটিক্স ও ফসফরাস।
হাড় ও দাঁত সুস্থ রাখে
ঘোলে আছে ক্যালসিয়াম যা দাঁত ও হাড় মজবুত রাখতে সহায়তা করে। শরীর, হৃদর ও পেশি সঠিকভাবে কাজ করার জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন। ক্যালসিয়াম পেশিটান কমাতে ও শক্তি বাড়াতে খুব ভালো কাজ করে। প্রতিদিন এক গ্লাস ঘোল খাওয়া দেহের ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়তা করে। এক গ্লাস বা ১০০ মি.লি. ঘোলে সাধারণত ১১৬ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম থাকে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ