24 C
আবহাওয়া
৮:১০ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ভয়াল ২৯ এপ্রিল আজ

ভয়াল ২৯ এপ্রিল আজ

ভয়াল

বিএনএ ডেস্ক: প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও ব্যাপক প্রাণহানির দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে উপকূলবাসীর কাছে আবারও ফিরে এসেছে ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এই দিনে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছিল বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা। প্রাণ হারিয়েছিল অন্তত ২ লাখ মানুষ।

৩৩ বছর আগের এই দিনটিতে ভয়াবহ এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, হাতিয়া, সন্দ্বীপসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকার মানুষ। বঙ্গোপসাগর থেকে তীব্র গতিতে উঠে আসা জলোচ্ছ্বাসে চোখের পলকেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় হাজার হাজার উপকূলবাসীর সংসার।

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূলের মানুষের জন্য ছিল এক ভয়ানক রাত। ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার গতিবেগে বাতাস আর প্রায় ২০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস রাত প্রায় ১২টা নাগাদ উপকূলে আছড়ে পড়ে হারিকেনের শক্তিসম্পন্ন প্রবল এক ঘূর্ণিঝড়। কুতুবদিয়ার ওপর দিয়ে ১২ থেকে ২০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানে। এতে কুতুবদিয়াসহ লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল কক্সবাজার, মহেশখালী, চকরিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, সীতাকুণ্ড পতেঙ্গাসহ উপকূলীয় এলাকা। বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। উপকূলীয় এলাকায় প্রাণ হারায় মোট ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। সবচেয়ে বেশি মানুষ ও অসংখ্য গবাদিপশু মারা যায় কুতুবদিয়ায়। নিখোঁজ হয় অসংখ্য মানুষ। দ্বীপের এমন কোনো বাড়িঘর নেই যেখানে মানুষ মারা যায়নি। বছর ঘুরে দিনটি এলে কান্নার রোল পড়ে স্বজন হারা বাড়িতে।

১৯৯১ সালের পর নির্মাণ করেনি স্থায়ী বেড়িবাঁধ। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণের আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

১৯৯১ সালের সেই জলোচ্ছ্বাসের পর সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশে ছুটে এসেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টাস্কফোর্স ‘অপারেশন সি অ্যাঞ্জেল’। মার্কিন সেনাবাহিনীর তৎকালীন মেজর জেনারেল হেনরি স্ট্যাকপোলের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স সদস্যরা ২৮টি হেলিকপ্টার ও উভচর যান নিয়ে ছুটে গিয়েছিল প্রত্যন্ত উপকূলীয় এলাকায়। ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, বাসস্থান নির্মাণসহ নানা সহযোগিতা নিয়ে তারা দাঁড়িয়েছিল দুর্গত মানুষের পাশে।

দোয়া, মিলাদ, আলোচনা সভা ইত্যাদি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছেন উপকূলের বাসিন্দারা।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ