বিএনএ, ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন। শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটের দিকে তিনি গুলশানের বাসভবন থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে ম্যাডামকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
তবে দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বেগম জিয়ার শারীরিক জটিলতা আগের চেয়ে বেড়েছে। তাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হতে পারে।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়ে শনিবার এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তার চিকিৎসা দেশের বাইরে দরকার। কিন্তু সরকার নিতে দিচ্ছে না। জনগণের কাছে দোয়া চাই, তিনি যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। নানা শারীরিক জটিলতায় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একপর্যায়ে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস তিনি সিসিইউতে ছিলেন। ১৯ জুন বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পর ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন তিনি।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত ছয় দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ফলে তিনি তার গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন।
বিএনএ/এমএফ