বিএনএ, বিশ্ব ডেস্ক : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাবু ভারত। হাসপাতালে ঠাই হচ্ছে না জীবিতেদর। এমনকি মৃতদের শ্মশানেও ঠাঁই হচ্ছে না! খোলা মাঠে-ঘাটে হচ্ছে দাহকান্ড। এরমধ্য বুধবার বিকেল ৪ টে থেকে সারা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ভ্যাক্সিন নেওয়ার জন্য ভারেতর কেন্দ্রীয় সরকারের কো-উইন অ্যাপে ( Co-Win) নাম নথিভুক্ত করণের প্রক্রিয়া।
ভারেতর সরকারি ওয়েবসাইটে বুধবার মাত্র তিন ঘন্টায় ভ্যাক্সিন নিতে আগ্রহী প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই অ্যাপে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন৷
কো-উইন অ্যাপের প্রধান আর.এস শর্মা জানিয়েছেন, নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য একঘন্টায় প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ সরকারি এই ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রার করেছেন৷ তবে নাম রেজিষ্ট্রেশন করার সময় হাসপাতাল বা কোন স্লটে ভ্যাক্সিন মিলবে তা নির্ভর করছে রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির উপর। হাসপাতালগুলি যখন তাদের টিকার দাম নির্ধারণ করবে তারপরই সাধারণ মানুষ নিজেদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ভ্যাকসিনের জন্যে দেশটির সরকার ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের কো উইন অ্যাপে নাম রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করেছে। অর্থাৎ ১ মে থেকে যারা ভ্যাকসিন পাওয়ার যোগ্য তাঁদের আবশ্যিকভাবে নাম রেজিস্টার করাতে হবে।স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সরাসরি ভ্যাকসিন সেন্টারে গেলেই টিকা পাওয়া যাবে না। তবে ৪৫ বছরের উপরের যাঁদের বয়স তাঁদের জন্য সরকার পুরোনো ব্যবস্থাই চালু রেখেছে। ফলে ভ্যাকসিন সেন্টারে গিয়ে তাঁরা ভ্যাক্সিন নিতে পারবেন।
ভারত জুড়ে যেভাবে প্রতিনিয়ত করোনা সংক্রমণ বাড়ছে । এই দাপট ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকার ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকল নাগরিকদের টিকা গ্রহনের অনুমোদন দিয়েছে। ফলে আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাই এই টিকা নিতে পারবেন। যদিও এখনও পর্যন্ত দেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভাক্সিন ব্যবহার করা হয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়ান ভ্যাক্সিন স্পুটনিক-ভি ও পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে।
এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন যখন সবার জন্য চালু হবে, তখন চাহিদা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে কোউইন পোর্টালের মাধ্যমে নাম রেজিস্টার করতে হবে। আগে থেকে ভ্যাকসিনের জন্য অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। যাতে সরাসরি এসে ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেই জন্যই এমন বন্দোবস্ত’।
অন্যদিকে, গত জানুয়ারি মাস থেকে সারাদেশে প্রথম পর্বের করোনার প্রতিষেধক প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে। এই পর্বে দেশের প্রথম সারির সমস্ত করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গত ১৬ মার্চ থেকে করোনার দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে। এই পর্বে সকল ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের এই ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১ এপ্রিল থেকে তৃতীয় পর্যায়ের ভ্যাক্সিন প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে।
বিএনএ ২৪ ডটকম/ ওয়াই এইচ/এজিএন