বিএনএ, ঢাকা : নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগের মামলায় কারামুক্ত হয়েছেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম। বুধবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৫ টা ১০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হন ।
এর আগে, রোববার (২৫ এপ্রিল) ইরফানকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজের আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল বেঞ্চ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আর ইরফান সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বাসেত মজুমদার ও সাঈদ আহমেদ রাজা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি। এরপর ওই নৌ-কর্মকর্তা মোটরসাইকেল থামিয়ে নিজের পরিচয় দেন। এ সময় গাড়িটি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে এসে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধর শুরু করলে তিনি আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে লোকজন জমে গেলে সংসদ সদস্যের গাড়ি ফেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
ওইদিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে এরফান সেলিমকে এক বছরের এবং তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।পরে ২৬ অক্টোবর ইরফান সেলিমসহ চাজনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় ‘মারধর ও হত্যাচেষ্টা’র মামলা করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। এরপর সেদিনই ইরফান সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়।
বিএনএ/ওজি