বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি নাগরিকের সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই দুর্ঘটনায় ১২ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৪ জন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত সোমবার জেদ্দা থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে ইয়েমেন সীমান্তবর্তী আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসের আরোহীরা ওমরাহ পালন করতে মক্কায় যাচ্ছিলেন। বাসের ব্রেক কাজ না করায় একটি সেতুর ওপর উল্টে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায় বলে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গালফ নিউজ ও আরব নিউজের খবরে বলা হয়।
শুরুতে দুর্ঘটনায় আটজন প্রবাসী বাংলাদেশির নিহতের খবর পাওয়া গিয়েছিল। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সিলর (শ্রম) কাজী এমদাদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১২ জন বাংলাদেশির মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাসটিতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন, যারা ওমরাহ করতে মক্কা যাচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৫ জনই ছিলেন বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় মোট ২২ জন নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে। বাকিদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানিয়েছেন, সৌদি আরবে ওই দুর্ঘটনার পর কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৮ জন বাংলাদেশিকে পাওয়া গেছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানায়, বাংলাদেশে সময় রাত ১০টা পর্যন্ত ৩৫ জন আহত যাত্রীর মধ্যে ১৮ জন বাংলাদেশি বিভিন্ন হাসপাতালে আছেন। বাকি ১৭ জনের মধ্যে নিহত আটজনের পরিচয় জানা গেছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নিহত বলে ধারণা করছে জেদ্দার বাংলাদেশ মিশন।
মিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ পুড়ে গেছে। তাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হতে ডিএনএ টেস্ট করতে হবে।
নিহতদের মধ্যে যে আটজনের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আবুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, একই উপজেলার রাসেল মোল্লা, নোয়াখালী জেলার মো. হেলাল, লক্ষীপুরের সবুজ হোসাইন, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মো. আসিদ, গাজীপুরের টঙ্গীর আবদুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন এবং চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুকু মিয়া।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ