25 C
আবহাওয়া
৫:১৩ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » আনোয়ারায় অবৈধ ইটভাটা নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকা

আনোয়ারায় অবৈধ ইটভাটা নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকা

আনোয়ারায় অবৈধ ইটভাটা নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকা

বিএনএ, আনোয়ারা : অবৈধ ইটভাটা বন্ধে চট্টগ্রামজুড়ে সাঁড়াশি অভিযান চললেও আনোয়ারায় অবৈধ ইটভাটা রয়েছে বহাল তবিয়তে। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে পরিবেশ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসন।
অভিযান নিয়ে খেলছে লুকোচুরি খেলা।

গত (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে উচ্চ আদালতের এক নির্দেশনা কার্যকরে মাঠে নামেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতর। হাইকোর্টের এ আদেশ পেয়ে পরিবেশ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, সীতাকুণ্ড ও চন্দনাইশসহ অধিকাংশ উপজেলা জুড়ে অভিযান পরিচালনা করলেও আনোয়ারা ইটভাটা উচ্ছেদে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতর পালন করছে নিরব ভূমিকা।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানা যায়, গত ২২ই মার্চ সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরীর নেতৃত্ব আনোয়ারায় অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে এনফোর্সমেন্ট ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার করার কথা থাকলেও তা অদৃশ্য ইশরায় অভিযান কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।

অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে গালিব চৌধুরী বলেন, এবিষয়ে আমি কথা বলতে পারবনা। আপনি জেনুইন শাখায় কথা বলে দেখেন।

জেনুইন শাখার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার বলেন, হয়তো কোন সমস্যা হয়েছে তাই অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখতেছি।

জানা যায়, উপজেলার বটতলীর পরির বিল রাস্তার পাশেই ২টি ইটভাটার কারনে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এই এলাকার মধ্যে রয়েছে কর্ণফুলী ব্রিকস ওয়াকর্স(KBW) ও শাহ মোহছেন আউলিয়া ব্রিকস(MBM)। এই এলাকার ২টি ইটভাটার মধ্যে শাহ মোহছেন আউলিয়া ব্রিকসের পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র বা কোন লাইসেন্স নাই !

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বটতলী এলাকার মোহাম্মদ শামসু নামে এক ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে ও কৃষকের তিন ফসলি জমিতে জবর দখল করে গড়ে তুলেছে অবৈধ এই ইটভাটা। প্রতিনিয়ত রাতের আঁধারে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। স্থানীয়দের অভিযোগ সরেঙ্গা ও বটতলী এলাকায় অনেক নিরহ কৃষকের জমি থেকে জোর করে এসব মাটি কাটা হচ্ছে। এই নিয়ে এলাকার অনেক কৃষক শামসুর মারধরের শিকার হয়েছে।
বিষয়টি গণমাধ্যমে আসলে প্রশাসন একটু নড়ে ছড়ে বসে। তারপর আবার চলে মাটি কাটার হিড়িক।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ শামসুর সাথে রয়েছ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের সাথে ধহরম-রহরম সম্পর্ক। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনকে কৌশলে ব্যবহার সে এসব করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য পরিবেশ অধিদফতর ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে করা রিটের শুনানি শেষে সাত দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় অবৈধভাবে পরিচালিত সবগুলো ইটভাটা বন্ধে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশসহ রুল জারি করে হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে কথা হয়, পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম জেলার উপ-পরিচালক জমির উদ্দিনের সাথে।তিনি বলেন, কখন অভিযান হবে সেটি আমাদের বলার কোন এখতিয়ার নেই। সেটি জেলা প্রশাসন বলতে পারবে। আপনি তাদের সাথে কথা বলেন। আমরা ঐ ইট ভাটার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছি। মামলা চলমান রয়েছে।
বিএনএনিউজ/এনামুল, জেবি

Loading


শিরোনাম বিএনএ