বিএনএ, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ভালুকায় মদপানের পর ডায়রিয়া ও বমি হয়ে দুই যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে দুই যুবকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন উপজেলার বাটাজোর গ্রামের জাফর খানের ছেলে আরিফ খান (৪০) ও একই গ্রামের আশরাফ খানের ছেলে আদনান খান (৩২)।
এর আগে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার বাটাজোর গ্রাম থেকে ওই দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াসিন তালুকদার বলেন, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতের কোনো এক সময় আরিফ ও আদনান তার বন্ধুদের সম্মিলিতভাবে নিজ এলাকা মদপান করে থাকতে পারেন। কারণ, তারা আগে থেকেই নিয়মিত মদ পান করতেন। পরদিন বুধবার ভোর থেকেই তাদের পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হলে আরিফ খানকে সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়ার পর সকাল ৭ টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে আদনান খানও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে বেলা ১২ টার দিকে আদনান খান মারা যায়। এমতাবস্থায় রাত ৯ টায় তাদের জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয়। এদিকে, পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
কাচিনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান লিটন বলেন, আমার ইউনিয়নে দুইজন লোক মারা গেছেন এটা সত্য। কিন্তু মদপান করে মারা গেছেন কিনা, তা নিশ্চিত করে বলতে পারবনা। তবে তারা মদ পান করতেন বলে জানা গেছে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, মদপানে মারা গেছে, এমন খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
বিএনএনিউজ/ হামিমুর রহমান/ বিএম/হাসনা