বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলনের ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে । গাজায় যুদ্ধ শুরু হবার পর এই প্রথমবারের মতো মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনা ঘটে। এ হামলায় আরও ৩৪ জন আহত হয় । জর্দান, ইরাক ও সিরিয়ার যৌথ সীমান্তের কাছে একটি মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে রোববার এ হামলা চালানো হয়।
রোববার রাতে আম্মান সরকার জানায়, ঘাঁটিটি সীমান্তের ওপারে সিরিয়ায় অবস্থিত। মার্কিন সরকার জাতিসংঘের ম্যান্ডেট বা দামেস্কের অনুমতি ছাড়াই সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের নামে সিরিয়ায় অবৈধভাবে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে।
ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন রোববার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ওই ড্রোন হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে বলেছে, জর্দানের সীমন্তবর্তী সিরিয়ার আল-তানাফ ঘাঁটিতে তারা ওই হামলা চালিয়েছে।
ফিলিস্তিানের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, সিরিয়ার মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা ছিল আমেরিকার জন্য একটি সুস্পষ্ট বার্তা।
হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিন মার্কিন সেনার নিহত হওয়ার ঘটনায় বাইডেন প্রশাসনের কাছে এই বার্তা পৌঁছেছে যে, গাজার নিরপরাধ মানুষের হত্যাযজ্ঞ চলতে থাকলে তাকে গোটা মুসলিম উম্মাহর মোকাবিলা করতে হবে।
ইসলামি জিহাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যয় প্রায় চার মাস ধরে ইহুদিবাদী ইসরাইলের গণহত্যার প্রতি আমেরিকা যে নির্লজ্জ সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে তার পরিণতি হচ্ছে এই হামলা।
গাজা উপত্যকায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি আগ্রাসনে অন্তত ২৬,৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
বিএনএ/ ওজি