23 C
আবহাওয়া
১১:৪৯ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বান্দরবানে কেএনএফ আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ল ৪০ মারমা পরিবার

বান্দরবানে কেএনএফ আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ল ৪০ মারমা পরিবার

মারমা

বিএনএ, বান্দরবান: বান্দরবানের রুমায় দুর্গমাঞ্চলে পাহাড়ের অস্ত্রধারী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে মারমা সম্প্রদায়ের অন্তত ৪০টি পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গ্রাম ছেড়েছেন।

গত শনিবার সন্ধ্যায় পাইন্দু ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুলপি পাড়ার মারমা সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা এলাকা ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা।

চেয়ারম্যান উহ্লামং জানান, পাহাড়ে কেএনএফ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় অন্তত ৪০টি মারমা পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে নিজ গ্রাম ছেড়েছে। পরিবারগুলো যে যেখানে পেরেছে, সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।

চেয়ারম্যান উহ্লামং বলেন, ওই এলাকার অধিকাংশ গ্রামের লোকজন রুমা সদরের মারমা ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ অন্তত ৪০ জন রয়েছে। তাদের পাইন্দু ইউনিয়নের পক্ষ থেকে খাবার, কম্বল ও থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিত শান্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা রুমা সদরে অবস্থান করবে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, রুমা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে মুলপি পাড়া গ্রাম। ওই গ্রামে বম সম্প্রদায়ের ৮০টি ও মারমা সম্প্রদায়ের ৫১টি পরিবারের বসবাস। গ্রামটি দুর্গম এলাকায় হওয়ার কারণে ওই এলাকা দিয়ে কেএনএফ সদস্যরা প্রতিনিয়ত চলাফেরা করত। তাদের এই চলাচলের কারণে গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছে না তাদের অত্যাচারে সবাই তটস্থ থাকেন।

রুমা থেকে শৈহ্লাচিং মারমা নামে স্থানীয় একজন জানান, তারা বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আতঙ্কে রুমা সদরে আশ্রয় নিয়েছেন, তবে সেখানে তাদের সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক স্থানীয় জানান, ওই গ্রামের এক কারবারীর (পাড়া প্রধান) মেয়ে জামাইকে গত এক সপ্তাহ আগে কেএনএফ ধরে নিয়ে যায়, তাকে মারধর করে আহত অবস্থায় জঙ্গলে ফেলে রাখে। পরে তাকে উদ্ধার করে গ্রামের লোকজন। এরপর থেকেই ওই গ্রামে লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রাম থেকে বাইরে না যাওয়ার হুমকিও দেয় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। পরে শনিবার সন্ধ্যায় কেএনএফ সদস্যরা অন্য এলাকায় গেলে, সেই সুযোগে মারমা পরিবারগুলো নিজ এলাকা ছাড়তে শুরু করেন।

ওই ব্যক্তি আরও জানান, পালিয়ে আসা অনেক পরিবার এখনও জঙ্গলে রয়েছে। কোনো কোনো পরিবার তাদের নিকট-আত্মীয়দের বাড়ি আশ্রয় নিয়েছেন।

রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন শিবলী বলেন, খবর পেয়ে আশ্রয় নেয়াদের খবর নেয়া হয়েছে। আরও পালিয়ে আসতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ