বিএনএ ডেস্ক: মাঘের মাঝামাঝিতে উত্তর জনপদে জেঁকে বসেছে শীত। হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হিমালয়ের বরফ বাতাসে কাহিল হয়ে পড়েছে মানুষসহ পশুপাখি। শীতের তীব্রতায় জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না লোকজন।
গত কয়েকদিন ধরে এই অঞ্চলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ঝরছে। রাত যতই গভীর হয়, কুয়াশার মাত্রাও ততই বাড়তে থাকে। বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরতে থাকায় রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
শীতে চরম বিপদে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে মানুষ সাধারণ কাজকর্ম করতে পারছে না। বিপাকে পড়েছেন রিকশা-ভ্যান চালকরা। শিশু-বৃদ্ধরা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। দিনভর ঘরের মধ্যে গায়ে কাঁথা-কম্বল জড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। আবার অনেকেই খড়কুটো জালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন।
শীতে তীব্রতায় জনজীবনে আরও বেশি আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে ঠাণ্ডাজনিত নানা উপসর্গ। হাসপাতালগুলোতে বেড়ে গেছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, উত্তর অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে যে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে সেটি সপ্তাহজুড়েই অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়ার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা ঝড়বে। পাশাপাশি দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময়ে আকাশ মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। মৃদু ও মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত এবং বিস্তার লাভ করবে।
এছাড়া, দেশের বেশির ভাগ জেলায় তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
এদিকে, শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এছাড়াও, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৭.৫, সৈয়দপুর ৮.০, রংপুর ৯.২, ডিমলা ৮.৯, নওগাঁ ৮.০, রাজশাহী ৮.৯, চুয়াডাঙ্গা ৯.০, শ্রীমঙ্গল ৭.৬, ডিগ্রি তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি