বিএনএ,কক্সবাজার: কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্বিতীয় দলকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। সোমবার(২৮ ডিসেম্বর)বেলা ১২টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ১৩টি বাস চট্টগ্রামের উদ্দেম্যে যাত্রা করেছে।বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র্যাব, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ১৩টা বাস উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠে রোববার(২৭ ডিসেম্বর) থেকে রাখা ছিল। সোমবার সকালে রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাসগুলো চট্টগ্রামে উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
প্রথম দফার মতো এবারও রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এরআগে গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪৫ রোহিঙ্গাকে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে এনে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস থেকেই বাসে করে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নৌ-বাহিনীর ঘাঁটিতে নেয়া হয়।এরপর নোয়াখালীর ভাসানচরের নিয়ে যাওয়া হয়।
রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, দ্বিতীয় দফায় এক হাজার শরণার্থীকে ভাসানচরে নেয়া হবে।রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে প্রথমে চট্টগ্রামে আনার পর নৌবাহিনীর জাহাজে করে ভাসানচরে পাঠানো হবে।
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১৩ হাজার একর আয়তনের ভাসানচরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।যেখানে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা রয়েছে।
ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্পগুলো থেকে সরিয়ে নিরাপদে রাখতে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচরে নিজস্ব অর্থায়নে বিপুল ব্যয়ে আশ্রয়ক্যাম্প নির্মাণ করে সেখানে ধাপে ধাপে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে সরকার।
২০১৭ সালের অগাস্টে মায়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে দেশটি থেকে দশ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এরাসহ বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে।ওই বছরের নভেম্বর মাসে কক্সবাজার থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেয় সরকার।আশ্রয়ণ-৩ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি