বিএনএ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ন্যায্য মূল্যের পণ্য কিনে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আবুল কালাম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির সামনে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর নিথর দেহের পাশে ন্যায্য মূল্যের চাল, ডাল আর তৈল পড়েছিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) মিরসরাইয়ের ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের নিজামপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫ নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়নে ন্যায্য মূল্যের পণ্য বিক্রির সময় নির্ধারণ করা হয় আজ। পণ্য কেনার করার জন্য ৩ নং ওয়ার্ড মাইজগাঁও এলাকার আলী সওদাগর বাড়ির নুরুল ইসলামের ছেলে আবুল কালাম (৬৫) পরিষদে যান। পরিষদ থেকে বাড়ির দূরত্ব অর্ধ কিলোমিটার। পণ্য কিনে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে নিজামপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় সড়ক পার হওয়ার সময় রং সাইড় দিয়ে ঢাকাগামী লং লরি (রেজিঃ নং- চট্ট মেট্টো-ঢ-৮১-৩৩৮৪) চাপায় মারাত্মক আহত হন। আহত আবুল কালামকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
নিজামপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদ খাঁন জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফাঁড়ির সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বৃদ্ধ আহত হলে তাকে উদ্ধার করে আমরা চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম পাঠাই। বিকালে জানতে পারি তিনি মারা গেছেন। সড়কের ঢাকামুখী লেইনে মেরামত কাজ চলমান থাকায় চট্রগ্রামমুখী লেইনে উল্টো গাড়ি খেয়াল করতে পারেননি বৃদ্ধ আবুল হোসেন। তার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তিনি।
ইউপি সদস্য আইনুল করিম জানান, বৃদ্ধের পরিবারে ৪ সদস্য । তিনি কৃষিকাজ করে কোন প্রকারে সংসার চালান। তার মৃত্যুতে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে গেল।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফজলুল কবির ফিরোজ বলেন, পণ্য বিক্রি করার সময় আমি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্যের মাধ্যমে সচেতন করেছিলাম যেন সতর্কতার সাথে সড়ক পারাপার হয়। শুনেছি দুর্ঘটনার সময় তার হাতে ন্যায্য মূল্যের পণ্যে থলে ছিল।
কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আব্দুল হাকিম আজাদ জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় ঘাতক লং ভেহিকেলটি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া গাড়ির চালক ভোলা জেলার সদর থানার ৩নং বেলি মিয়া ইউনিয়নের বেনু মিয়া চর এলাকার মৃত হারুনের ছেলে মো. মোমিনকে (২৭) আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বিএনএনিউজ/ আশরাফ উদ্দিন/ বিএম