বিএনএ, বরিশাল: বরিশাল নগরীতে ট্রাকের ধাক্কায় শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক আহমেদ শুভ নিহতের ঘটনায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সহপাঠীরা। এ সময় তারা ঘটনায় জড়িত ট্রাকচালকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। বিক্ষোভের সময় মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর আমতলার মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। ঘণ্টাব্যাপী অবরোধে বরিশাল-ঢাকা ও বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
তৌফিক আহমেদের সহপাঠী সৌমিক আহমেদ বলেন, ‘প্রতিদিন সড়কে চিকিৎসক থেকে শুরু করে মেডিক্যালের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। এর প্রধান কারণ ঘটনায় জড়িত চালকদের বিচার না হওয়া। বিচার হলে অন্তত চালকরা সাবধানে গাড়ি চালাতো। এতে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসতো।
তৌফিকের মৃত্যুর জন্য ট্রাকচালক সম্পূর্ণ দায়ী। বেপরোয়া গতির কারণে অটোরিকশাকে ধাক্কা দিয়েছিল চালক। এতে অটোরিকশা থেকে মহাসড়কে ছিটকে পড়ে ওই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয় তৌফিক। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে এবং তৌফিক হত্যার বিচারের দাবি জানাই আমরা।’
বরিশাল মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার আলী আশরাফ ভূঁইয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। আটক ট্রাকচালককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুপুরে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন মেডিক্যালের শিক্ষার্থীরা। বিচারের আশ্বাস দিলে ক্যাম্পাসে ফিরে যান তারা।’
পুলিশ ও সহপাঠীরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে অটোরিকশাযোগে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের পেছনের বাসা থেকে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে যাচ্ছিলেন শুভ। রাত ৯টার দিকে সিঅ্যান্ডবি রোডের বৈদ্যপাড়ায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে পড়ে ট্রাকের চাপায় নিহত হন শুভ।
এ সময় অটোরিকশাচালক মিজানুর রহমান আহত হন। নিহত তৌফিক আহমেদ শুভ (২৩) বাকেরগঞ্জ উপজেলার গোমা এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় ট্রাকচালক মো. রিয়াদকে আটক করা হয়েছে। পরে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। ওই মামলায় রিয়াদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিএনএনিউজ/ সাইয়েদ কাজল/ বিএম