রাজধানীর কাকরাইল দৈনিক বাংলা, পানির ট্যাংক এলাকাসহ আশেপাশের এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা। ফলে প্রায় দু্ই কিলোমিটার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আগুন দেয়া হয় ট্র্যাফিক পুলিশ বক্স ও আইডিবি ভবনে রাখা কয়েকটি গাড়িতে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
দৈনিক বাংলার মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের ছোড়া একটি ইট নিহত কনস্টেবলের মুখে লাগে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুপক্ষের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। এসময় দৈনিক কালবেলার রাফসান জানি, নিউ এইজের আহমেদ ফয়েজ, বাংলা ট্রিবিউনের সালমান তারেক শাকিল, ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক মারুফসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন।
বিএনপির অভিযোগ, পুলিশ নারকীয়ভাবে নয়াপল্টনে তাণ্ডব চালিয়েছে। তাদের শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে অতর্কিতে গুলিবর্ষণ করেছে। এতে বহু নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর দলীয় কার্যালয়ের নিচে হ্যান্ড মাইকে হরতালের ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
পুলিশ বলছে, সংবিধানে যেকোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে। কিন্তু কর্মসূচির আড়ালে কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
দুই সপ্তাহ আগে বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল বিএনপি। সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ উত্তপ্ত । সহিংসতা- সংঘাতের শঙ্কা ছিল।
বিএনএ নিউজ/শাম্মী, ওজি,ওয়াইএইচ