বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নৌকায় ভোট দিলে হয় উন্নয়ন, আর বিএনপি করে দুর্নীতি, মানুষ খুন। এরা খুন করা ছাড়া আর কিছু জানে না। ক্ষমতায় গিয়ে ২১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে খুন করেছিল। এই চট্টগ্রাম দিয়ে দশ ট্রাক অস্ত্র এনেছিল। গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল।’
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে কর্ণফুলীর কেইপিজেড মাঠে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখন ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে চট্টগ্রামের ভেতর ঢুকে যানজটে পড়তে হবে না। টানেলটি এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। যা দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে। আরও ১১টি প্রকল্প আপনাদের জন্য উপহার হিসেবে উদ্বোধন করে দিলাম। আজকের এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে গত নির্বাচনে আপনারা ভোট দিয়েছিলেন বলে। নৌকা যখনই সরকারে এসেছে, দেশ ও মানুষের উন্নয়ন করেছে।
তিনি বলেন, আমি তো সবই হারিয়েছি ৭৫-এর ১৫ আগস্ট। ছয় বছর দেশে আসতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। একরকম জোর করেই দেশে ফেরা। আসার পর থেকে বাংলাদেশে মানুষের জন্য কাজ করছি। চাই, কীভাবে দেশের মানুষকে ভালো রাখা যায়। এ চট্টগ্রামের কত নেতা ছিলেন, যারা জীবন দিয়ে সংগ্রাম করেছেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় এতবড় টানেল এই প্রথম। বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণে সহযোগিতা দেওয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, “চীন সফরে গিয় তাদেরকে বলেছিলাম, সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া এবং ফিলিস্তিন যুদ্ধে সারা বিশ্বেই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। তাই আমরা ১ কোটি মানুষকে পারিবারিক কার্ড করে দিয়েছি। এর মাধ্যমে তাদেরকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা দেশে উন্নয়ন করি। আর বিএনপি-জামায়াত দেশ ধ্বংস করে। আগুন দিয়ে জ্যান্ত মানুষ পুড়িয়ে মারার ইতিহাস তাদের। জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত। তারা খুন করা ছাড়া আর কিছু জানে না। তারা আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছে। তারা যখন ক্ষমতায় থাকে দুর্নীতি ও লুটপাট করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেনেড হামলা করে আমাকে দিনে-দুপুরে হত্যা করতে চেয়েছিল। ওই হামলায় ২২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। চট্টগ্রাম ছিল সন্ত্রাসের রাজত্ব। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেই সন্ত্রাস দূর করে একটি শান্তির অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলেছে।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতাদের ভূমিকার স্মরণ করেন।
বিএনএ নিউজ/এমএফ