বিএনএ ডেস্ক: জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর জাপান সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়াবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী (মহাপরিচালক) আরিমা ইউটাকা ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধানমন্ত্রীর সফরের এই তারিখ চূড়ান্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব’ পর্যায়ে উন্নীত করার বিষয়ে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ও জাপান। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল) কাজী রাসেল পারভেজ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সফরে দুই দেশের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, আইসিটি, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা সংলাপ ও বিনিময়, দুই জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে গভীর অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব গড়ে তোলার আশা ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ও জাপান। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, জাতিসংঘের সংস্কার ইত্যাদি বিষয়ে আন্তর্জাতিক ফোরামে সহযোগিতা বাড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে দুই পক্ষ।
বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই জাপান সফর বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সফররত জাপানের সহকারী মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাপান সফরের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়ে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন তিনি। প্রতিনিধি দলের অন্য দুই সদস্য হলেন জাপান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া বিভাগের উপপরিচালক মাচিমুরা কেইতা এবং সহকারী পরিচালক উন আনরি।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কৌশলগত পর্যায়ে গেলেই সামরিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়টি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসে। তবে কোন কোন জায়গায় সহযোগিতা হবে, সেটি আলোচনার বিষয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের কাছে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির আগ্রহ জানিয়েছে জাপান। এই আগ্রহ থেকেই দেশটি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক কৌশলগত পর্যায়ে নিতে চায়। অস্ত্র বিক্রি ছাড়াও সামরিক সহযোগিতার মধ্যে দুই দেশের বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে প্রশিক্ষণ বিনিময়, যুদ্ধজাহাজের শুভেচ্ছা সফর, প্রযুক্তি বিনিময়ের মতো বিষয়গুলোও থাকতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাপান প্রযুক্তিগত সমরাস্ত্রের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। তাদের সরঞ্জামগুলো মূলত নৌ ও বিমানবাহিনীর জন্য বেশি প্রযোজ্য। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন জাপান সফরে এ বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও যৌথ বিবৃতিতে তার প্রতিফলন থাকবে। তবে টোকিও সুনির্দিষ্ট পণ্যের প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশ তা যাচাই-বাছাই করবে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ