বিএনএ, লাইফস্টাইল ডেস্ক: হাওয়ায় হালকা শীতের আমেজ। ঋতু পরিবর্তনের সময় এসেছে। কখনও জোরে পাখা চালাতে হচ্ছে, কখনও বা গায়ে হালকা চাদরের প্রয়োজন পড়ছে। আর এই সময়েই মরসুমি সর্দি-কাশি হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ইতিমধ্যেই অনেকের জ্বরজ্বর ভাব।
ঠান্ডার মৌসুমে বা শীতের সময় ভাইরাসগুলো দ্রুত সংক্রমিত হওয়ার মতো পরিবেশ পায় বলে শীতের সময় সর্দি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায় এবং শীতের সময় মানুষের বেশি সর্দি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ঠান্ডা বা সর্দিজ্বরের উপসর্গ দেখা দেয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই সর্দিজ্বর আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি অন্যের মধ্যে রোগ ছড়াতে পারেন। ঠান্ডা যেন ছড়িয়ে না পরে সেজন্য কয়েকটি পদক্ষেপ মেনে চলা যায়।
যেমন- গরম পানি ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়া; ঠান্ডায় আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে তোয়ালে বা গৃহস্থালির দ্রব্যাদি (যেমন কাপ, প্লেট) শেয়ার না করা; ঠান্ডা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পর নিজের চোখ বা নাক স্পর্শ না করা।
এই সময়ে ঘরোয়া উপায়ে নিজের শরীরের যত্ন নিতে পারেন। কী কী করলে সর্দি-কাশি কমবে?
১. বেসনের সঙ্গে দুধ, ঘি, হলুদ আর গোলমরিচ দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। একে বলা হয় ‘বেসন কা শিরা’। এর মধ্যে দেয়া যায় আদাও। সর্দি-কাশি হলে মাঝেমাঝেই এই পানীয় খাওয়া যেতে পারে। দ্রুত কষ্ট কমবে।
২. আদা, লেবু, মধু দিয়ে আরও একটি পানীয় তৈরি করা যেতে পারে। এর উপকারিতাও প্রচুর। মাঝেমাঝে খেলে কাশি কমবে, সঙ্গে বাড়বে প্রতিরোধশক্তিও।
৩. খেতে পারেন হলুদ মেশানো দুধও। হলুদের অ্যান্টি-ব্যাক্টিরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ আছে। এই পানীয় নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে সর্দি-কাশি।
৪. চায়ের পরিবর্তে উষ্ণ গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। প্রতিদিন এই মিশ্রণ পানের অভ্যাস করুন। এছাড়াও গ্রিন-টি পানের অভ্যাস করতে পারেন। উপকৃত হবেন।
৫. কলা একটি নন-অ্যাসিডিক খাবার যা গলা খুসখুসে ভাব কমাতে খুবই কার্যকরী। এছাড়াও কলা একটি লো-গ্লাইসেমিক খাবার যা ঠান্ডা লাগা বা সর্দি ভাব দ্রুত কমাতে সাহায্য করে।
৬. প্রতিদিন এক চামচ করে মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। মধু হচ্ছে উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরল। নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস আপনার শ্বাসনালীর নানা সমস্যা দূরে রাখবে এবং সেই সঙ্গে সর্দি-কাশির সমস্যাও।
৭. গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড। গাজরের ভিটামিন ও মিনারেলস শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই কারণেই চট করে সর্দি-কাশির মতো রোগগুলো শরীরকে কাবু করতে পারে না। তবে ঠান্ডা লাগলে কাঁচা গাজর না খেয়ে সেদ্ধ করেই খাওয়া উচিত।
৮. সর্দি-কাশির সমস্যার কারণে যদি আপনার নাক বন্ধ থাকে তাহলে একটি কাজ করুন। সামান্য উষ্ণ গরম নুন জল নাক দিয়ে টানার অভ্যাস করুন। নাকের একপাশ দিয়ে টেনে অন্য পাশ দিয়ে বের করার চেষ্টা করুন। এতে জমে থাকা মিউকাস সহজেই বের হয়ে যাবে এবং সর্দি-কাশির সমস্যাও দ্রুত কমে যাবে।
৯. সর্দি-কাশির সমস্যা হলে প্রচুর পানি পান করুন। প্রচুর পরিমাণে জল খেলে শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে আসে। শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে গেলে সেটা ধীরে ধীরে বের হয়ে যায় নিজে থেকেই। তাই সর্দি-কাশির সমস্যায় সারাদিনে প্রচুর পানি পান করতে থাকুন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ