28 C
আবহাওয়া
১:৫০ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সিনহা হত্যা মামলার চতুর্থ দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

সিনহা হত্যা মামলার চতুর্থ দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

সিনহা হত্যা মামলা, নিজেদের নির্দোষ দাবি করলেন ১৫ আসামি

বিএনএ কক্সবাজার : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার চতুর্থ দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ওসি প্রদীপদের কাছে হয়রানি হওয়া ভুক্তভোগীদের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওই মামলার ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এ সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত।

সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলাটির রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।

পিপি ফরিদুল আলম বলেন, মঙ্গলবার ভিকটিম সাক্ষী তথা ওসি প্রদীপ গংয়ের অত্যাচার-নির্যাতনে যারা ভুক্তভোগী ছিলেন তাদের জবানবন্দির মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে চতুর্থ দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। তৃতীয় দফা সাক্ষগ্রহণ শেষে বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল চলতি মাসের ২৮ এবং ২৯ তারিখ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছিলেন বলেও জানান তিনি।

গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা তিনদিন এ মামলার তৃতীয় দফা এবং ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা চারদিন মামলার দ্বিতীয় ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তৃতীয় ধাপে সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ দিনে সাক্ষ্য দিয়েছেন সার্জেন্ট আয়ুব আলী, ডা. শাহীন আব্দুর রহমান ও হাফেজ সালেহ আহমেদ।

প্রথম দফায় ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট  মামলার ১নম্বর সাক্ষী ও বাদি শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস এবং ২নম্বর সাক্ষী ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালত।

এনিয়ে ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে তিন দফায় আদালতে মোট ১৪ জন সাক্ষ্য দিলেন। তাদের জেরাও শেষ করেছে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।

উল্লেখ্য, গতবছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মেরিনড্রাইভ চেক পোস্টে মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র‌্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা করে। এরপর মেজর সিনহা নিহতের ছয় দিন পর লিয়াকত আলী ও ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে ঘটনার সময় দায়িত্ব পালনকারি আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২৪ জুন মামলার অন্য পলাতক আসামি টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

আসামিদের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া অন্য ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তদন্ত শেষে ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা তৎকালীন র‌্যাব ১৫-এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ