বিনোদন ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডে যখন পুরো পশ্চিমবঙ্গ উত্তাল, সেখানে প্রশ্ন একটাই নারী স্বাধীনতা এবং নারী নিরাপত্তা। স্বাধীনতার এত বছর পরও মেয়েরা সেখানে সুরক্ষিত নয়। কিন্তু শ্রীলেখা কেরালাতে গিয়েও সুরক্ষিত ছিলেন না।
অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন তার সঙ্গে কী হয়েছিল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে শ্রীলেখা জানান, ২০০৯ সালে দক্ষিণী ছবি ‘পালেরি মণিক্যম : ওরু পাথিরাকোলাপাথাকাথিনতে কথা’র অডিশনের সময়ে পরিচালকের যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি বর্ষীয়ান মালয়ালাম পরিচালক ও কেরালার চলচ্চিত্র একাডেমির চেয়ারম্যান রঞ্জিতের বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন শ্রীলেখা। অভিনেত্রী বলেন, ‘রঞ্জিত হঠাৎই ছবির গল্প বলার জন্য আমাকে তার শোবার ঘরের দিকে ডেকে নিয়ে গেলেন। আমি ভাবলাম হয়তো ভিড় এড়ানোর জন্য তিনি ডাকছেন। ঘরটি বেশ অন্ধকার ছিল। আমি ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে এক সিনেমা ফটোগ্রাফারের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলাম।
হঠাৎ আমার হাতের চুড়িগুলো নিয়ে খেলতে লাগলেন পরিচালক। আমরা নারীরা পুরুষের স্পর্শের অর্থ বুঝি। আমার অস্বস্তি হচ্ছিল, কারণ ওর সঙ্গে আমার তেমন বন্ধুত্বও ছিল না। কিন্তু আমি নিশ্চিত হতে পারছিলাম না। তারপর তিনি আমার ঘাড়ে ও চুলে স্পর্শ করতে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে আমি সেই ঘর থেকে বেরিয়ে যাই।’ অভিনেত্রীর এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন পরিচালক।
শ্রীলেখার অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করে রঞ্জিত বলেন, ‘তাকে কোনো চরিত্র দেয়া হয়নি বলে তিনি যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন। শ্রীলেখার সঙ্গে আমি চিত্রনাট্যকার শঙ্কর রামকৃষ্ণের সামনে কথা বলেছিলাম। দুজন সহকারীও ছিল।’
কিন্তু শ্রীলেখার অভিযোগ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই রবিবার কেরালার চলচ্চিত্র একাডেমির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন রঞ্জিত।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/ হাসনা