বিএনএ ডেস্ক: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রানিহাটি কলেজের সামনে দুর্বৃত্তদের হামলায় জেলা পরিষদের সদস্য ও শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালামসহ (৫৫) দুজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থকরা ব্যারিকেট দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করে। আধা ঘণ্টা পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আবদুস সালাম উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মোড়লপাড়া গ্রামের মো. এত্তাজ আলীর ছেলে। নিহত অন্যজন হলেন একই উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে আবদুল মতিন। তিনি হরিনগর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার ছাইদুল হাসান।
স্থানীয় ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে রানীহাটি কলেজের সামনে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাছে একটি চায়ের দোকানের সামনে বসে ছিলেন আবদুস সালামসহ তার সঙ্গীরা। এ সময় হঠাৎ দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পাশাপাশি গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সালাম। গুলিবিদ্ধ হন মতিন। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আফসার আলীসহ অন্যরা মতিনকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে সালামের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মিম ইফতেখার জাহান বলেন, রাত নয়টার দিকে মতিনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। লাশের মাথা ও পায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, নয়ালাভাঙ্গা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিতেন সালাম। এই বিরোধের জেরে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ