বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় বিয়ের আগের দিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে রীমা আক্তার (২০) নামে এক তরুণী।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন ২০২৪) দুপুরে উপজেলার হাইদগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রীমা ওই এলাকার হীরা তালুকদার বাড়ির বাচা মিয়ার মেয়ে।
জানা যায়, একইদিন দুপুর ১২ টা নাগাদ ঘরের দরজা বন্ধ করে বৈদ্যুতিক পাখার সাথে ওড়না পেঁছিয়ে এ তরুণী আত্মহত্যা করে। সে পটিয়া কলেজে অনার্সের শিক্ষার্থী ছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে ছিল তাদের মেহেদী অনুষ্ঠান এবং ২৮ জুন শুক্রবার দুপুরে ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। রীমার হবু স্বামী মিজানুর রহমান মোরশেদ একজন ব্যাংকার হলেও যৌতুক চেয়ে বসে।
বিয়ের আগেই একবার মেয়ের বাবা বিয়ের খরচ হিসেবে ছেলেকে চাহিদামত কিছু টাকা দিয়েছে বলে সুইসাইড নোটে লিখে যান রীমা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ বছর ধরে ব্যাংকার মিজানুর রহমানের সঙ্গে রীমা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। মিজানুর রহমান মোরশেদ একই এলাকার মফিজুর রহমানের পুত্র। উভয়ের পরিবার ছেলে মেয়ের সম্পর্ক জেনে পারিবারিকভাবেই শুক্রবার ২৮ জুন বিয়ের তারিখ ঠিক করে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে ছিল তাদের মেহেদী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে রীমা ও মিজানুর রহমান মোরশেদ মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বলে। এরপর পরই ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁছিয়ে রীমা আত্মহত্যা করে।
রীমার ভাই আজগর হোসেন জানিয়েছেন, তার বোনের কাছে যৌতুক হিসেবে ফুল সেট ফার্ণিচার, টিভি, ফ্রিজ এবং বিয়ের খরচ হিসেবে নগদ টাকা দাবি করে। উভয়ের প্রেমের সম্পর্ক থাকা সত্বেও যৌতুক দাবি করায় তার বোন অপমানিত হয়ে রাগে আত্মহত্যা করে।
তিনি জানিয়েছেন, তার বোন পটিয়া সরকারি কলেজে অনার্সের মেধাবী ছাত্রী ছিল। ছেলের পক্ষের আগ্রহে তারা বিয়েতে রাজী হন। ছেলে যে এতটা যৌতুক লোভী হবে আমরা জানতাম না। প্রাণ দিয়ে আমার বোন তার মুখোশ উম্মোচন করে দিলেও আমরা এতদিন তা বুঝতে পারেনি। মৃত্যুর আগে তার বোন সুই সাইড নোটে এসব লিখে রেখে যান।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি ) জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, মেহেদী অনুষ্ঠানের কয়েকঘন্টা আগে তরুণীর আত্মহত্যা বিষয়টি দু:খজনক। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। পরিবারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনএনিউজ/নাবিদ,এসজিএন