বিএনএ ডেস্ক:ভারতের বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার টিকটক হৃদয় ও তার সহযোগী সাগর পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে।পুলিশ জানায়, শুক্রবার(২৮মে) সকালে অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। এ সময় পুলিশ গুলি চালালে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন হৃদয় ও সাগর। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।দু’জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।
বিবস্ত্র করে নারী নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে টিকটক হৃদয়সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। এদের মধ্যে এক নারীও আছেন।
ভারতের জনপ্রিয় গণমাধ্যম এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ২২ বছরের ওই তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতনের পর দল বেঁধে ধর্ষণ করে যুবকদের একটি গ্রুপ। তারা সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয় সামাজিক যোগাযোগ মাধমে। তাদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সবাই বাংলাদেশি।
তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিলের বাসিন্দা রিফাদুল ইসলাম হৃদয় রয়েছেন, যিনি এলাকায় ‘টিকটক হৃদয় বাবু’ নামে পরিচিত। গ্রেফতার অপর ৪ জনের মধ্যে ৩ জন হলেন মোহাম্মদ বাবা শেখ, সাগর ও অখিল। গ্রেফতার নারীর পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।ভুক্তভোগী নারীকেও তদন্তের স্বার্থে খোঁজা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও ধর্ষণের মামলাও করেছে ব্যাঙ্গালুরু পুলিশ।
বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশের এক বিজ্ঞহপ্তিতে জানানো হয়, ভিডিও ক্লিপ দেখে ঘটনায় জড়িত এক নারীসহ ৫ জনকে দ্রুত শনাক্ত করে আটক করা হয়। এরপর ভিডিও ক্লিপ এবং আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের ভিত্তিতে রামমূর্তি নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নিপীড়ন ও এ সংশ্লিষ্ট আইনের অন্যান্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই বাংলাদেশি।
এ বিষয়ে দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চক্রটি ওই তরুণীকে নির্যাতনের সময় ভিডিও ধারণ এবং ক্লিপ আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই তদন্ত শুরু করে নর্থ ইস্ট পুলিশ ও বাংলাদেশ পুলিশ ।
এদিকে, হৃদয়ের পরিচয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশের পুলিশ।ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ জানান, ওই ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় তরুণীর বাবার দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশি আসামিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। ভিডিও দেখে নিজের মেয়েকে শনাক্তের পর বৃহস্পতিবার রাতে হাতিরঝিল থানায় মামলাটি করেন তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি