বিএনএ, ডেস্ক : ২০২৩ এর ২১ মার্চ থেকে ২০২৪ এর ১৯ মার্চ। এই এক বছরে মহাকাশে ৭টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে ইরান।
গত সেপ্টেম্বরে পৃথিবীর কক্ষপথে নুর-৩ ইমেজিং স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়। কাসেদ নামক রকেটের মাধ্যমে এই উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হয় এবং তা ভূপৃষ্ঠের ৪৫০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা হয়।
ইরান সফলভাবে নতুন বায়ো-স্পেস ক্যাপসুল মহাকাশে পাঠিয়েছে। নিজেদের তৈরি লঞ্চার ‘সালমান’ এর সাহায্যে এটি পাঠানো হয়েছে। ইরানের বিজ্ঞান, গবেষণা ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অ্যারোস্পেস রিসার্চ ইনস্টিটিউট ৫০০ কিলোগ্রাম ওজনের এই ক্যাপসুলটি নির্মাণ করেছে। এটিকে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘সালমান’ লঞ্চার।
গত জানুয়ারিতে ইরান স্যাটেলাইট বহনকারী রকেট কায়েম-১০০ এর সাহায্যে সুরাইয়া নামক একটি স্যাটেলাইট ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭৫০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করতে সক্ষম হয়। এই স্যাটেলাইটটি এখন পর্যন্ত ইরানের উৎক্ষেপণ করা স্যাটেলাইটগুলোর মধ্যে মহাকাশে সবচেয়ে বেশি উচ্চতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে । ইরানের স্যাটেলাইট বহনকারী রকেট কায়েম-১০০ হচ্ছে তিন ধাপের সলিড ফুয়েল পরিচালিত রকেট, যা ১০০ কেজি পর্যন্ত ওজন বহন করতে পারে ।
সুরাইয়া স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কয়েক দিন পরই আরও এক বড় সাফল্য পায় ইরানের মহাকাশ শিল্প খাত। প্রথম বারের মতো ইরান একযোগে তিনটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়। স্যাটেলাইটগুলো দুই ধাপে সিমোর্গ স্যাটেলাইট ক্যারিয়ারের মাধ্যমে বহন করা হয় এবং সেগুলো ভূপৃষ্ঠ থেকে কমপক্ষে ৪৫০ কিলোমিটার উপরে কক্ষপথে স্থাপিত হয়। এই তিনটি স্যাটেলাইটের একটি হচ্ছে মাহদা। এটি তুলনামূলক ভাবে বড়। অন্য দু’টি স্যাটেলাইটের নাম কেইহান-২ এবং হাতেফ-১। এগুলো ন্যানো স্যাটেলাইট।
ইরান সর্বশেষ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে এক মাসেরও কম সময় আগে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে পার্স-১ নামের গবেষণা স্যাটেলাইট রাশিয়ার ভোস্টোচনি কসমোড্রোম মহাকাশ কেন্দ্র থেকে সয়ুজ রকেটের সাহায্যে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ১৩৪ কেজি ওজনের এই স্যাটেলাইটটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০০ কিলোমিটার উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে।
বিএনএ/ ওজি
পার্সটুডে অবলম্বনে