বিএনএ, ববি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিতে গেলে হদিস মিলছে না চিকিৎসকের এমন অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা বলছেন, অধিকাংশ সময় মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে চিকিৎসা না পেয়ে নিরূপায় হয়ে ফিরে আসেন তারা।
মঙ্গলবার (২৮মার্চ) বেলা ১১টা ৪০মিনিটে গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে এক শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিতে মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে দেখেন কর্তব্যরত চিকিৎসকের দু’জনই অনুপস্থিত। মেডিকেল স্টাফরা জানান, স্যারে একটা প্রোগ্রামে গেছে ১০মিনিট পরে আসবেন। ২০ মিনিটি পরে দুপুর ১২টার দিকে গেলে জানান ডাক্তার সাহেব তো আসেনি, মেয়র আসবে সেখানে গিয়েছেন।
মার্কেটিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ বলেন, আমার পক্স উঠায় গত ২০ মার্চ আমি মেডিকেল সেন্টারে যাই চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসক আমাকে কিছু পরামর্শ ছাড়া কিছুই দেননি। একটা প্রেসক্রিপশন পর্যন্ত লিখে দেয়নি। আমরা জানি ওষুধ দেয়, চর্মরোগের জন্য মলম দেয় কিছুই তো দিল না আমাকে।
আরেক ভুক্তভোগী একাউন্টিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শামীম আহসান বলেন, আমি গত মাসে তিন দিন মেডিকেলে গিয়ে একদিনও কর্তব্যরত চিকিৎসককে পাই নি। গেলেই মেডিকেল স্টাফরা বলেন তানজিল স্যার এডমিন বিল্ডিংয়ে আছেন, শাম্মী আরা নিপা ম্যাডাম ছুটিতে। ১০মিনিট বসেন আসবে স্যার, আধাঘন্টা অপেক্ষার পরও স্যারের দেখা মেলে না।
ওষুধের ঘাটতি নিয়ে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সেন্টারে ওষুধ বলতে নাপা এক্সট্রা অথবা প্যারাসিটামল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দামি ওষুধগুলো বাইরে থেকে কিনতে হয়।
মেডিকেল সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিন মুঠোফোনে বলেন, ঐ সময়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়েই ছিলাম না, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় একটা প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলাম। পরে এসে ঐ শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। আপনি কালকে আমার অফিসে আসেন এই বিষয়ে বিস্তারিত কথা হবে, আমি এখন গাড়িতে আছি।
এ বিষয়ে জানার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনের সাথে যোগাযোগের জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।
উল্লেখ্য, লাইব্রেরি ভবনের নিচতলার মাত্র তিন কক্ষ বিশিষ্ট এ চিকিৎসা কেন্দ্রে আছেন দুইজন চিকিৎসক, একজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট একজন নার্স। জরুরি প্রয়োজনে রোগী বহনের জন্য রয়েছে একটিমাত্র অ্যাম্বুলেন্স। চিকিৎসা খাতে নেই পর্যাপ্ত বরাদ্দ। ফলে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিএনএ/রবিউল, এমএফ