25 C
আবহাওয়া
৬:২২ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » হাটহাজারী থানার ওসির প্রত্যাহার দাবি বাবুনগরীর

হাটহাজারী থানার ওসির প্রত্যাহার দাবি বাবুনগরীর

জুনায়েদ বাবুনগরী

বিএনএ, চট্টগ্রাম: পুলিশের গুলিতে মাদ্রাসাছাত্রসহ চারজন নিহতের ঘটনায় হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে দায়ী করে তার প্রত্যাহার চেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে হরতাল পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ দাবি জানান। এ সময় হরতাল সফল হয়েছে বলেও দাবি করেন হেফাজত আমির।

জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, শান্তিপূর্ণ মিছিলে, বিশেষ করে ওসি রফিকুল বিনা উসকানিতে গুলি করে চারজনকে হত্যা করেছে। সারাদেশে আরও অনেকে নিহত হয়েছেন। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় হাজার হাজার মানুষ আহত। এটা মামুলি বিষয় নয়। এ কারণে হরতালের ডাক দিয়েছি।

তিনি বলেন, স্বতস্ফূর্তভাবে হরতাল পালিত হচ্ছে। সারাদেশের আলেম-ওলামারা সাড়া দিয়েছেন। এ কারণে জনগণকে, আলেম-ওলামাদেরকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি। এভাবে ইসলামের প্রতি অন্যায় হলে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ব৷ আমরা বাধ্য হয়ে হরতাল দিয়েছি।

বাবুনগরী বলেন, বিভিন্ন জায়গায় সরকারের পেটুয়া বাহিনী ও দলীয় ক্যাডাররা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন ও আক্রমণ করেছে, আহত-নিহত করেছে। আমাদের হেফাজতের নায়েবে আমির মধুপুরের পীর সাহেব আব্দুল হামিদের ওপরও হামলা করেছে। এছাড়া আরও অনেকের ওপর হামলা করেছে। ১৬ জন শহীদ ছাড়াও আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এটার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি— এ হামলা যেন বন্ধ করে, যারা নিহত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেন, যারা আহত হয়েছেন তাদের ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। আর যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদেরকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৬ মার্চ) জুমার নামাজের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধীতায় হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা থেকে কয়েক হাজার হেফাজত কর্মী করে মিছিল নিয়ে বের হয়। এসময় তারা হাটহাজারী থানা, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও ডাক বাংলোতে হামলা চালায়। পাশাপাশি তারা ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগও করে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের হেফাজতের কর্মীরা ভূমি অফিসে প্রবেশে বাধা দেয়। এসময় হেফাজত ও পুলিশের সংঘর্ষে গুলিতে চারজন নিহত হন। শনিবার রাতে ডাক বাংলোতে আগুন দেয় হেফাজতের কর্মীরা। পাশাপাশি তারা তিনটি মোটর সাইকেলও পুড়িয়ে দেয়।

শুক্রবারের বিক্ষোভের সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে হেফাজত কর্মীরা মাদ্রাসা গেটে অবস্থান নিয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রাখে। যেই অবরোধ তিনদিনেও ওঠেনি। পরে বিক্ষোভে পুলিশের গুলি ও সরকার-সমর্থকদের হামলায় হতাহত হওয়ার ঘটনায় রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এর আগে গতকাল শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ