বিশ্ব ডেস্ক, ঢাকা: মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১১৪ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। এ নিয়ে জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে চার শতাধিক বিক্ষোভকারী নিহত হলো।
শনিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবসে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বলেন, গণতন্ত্রের সুরক্ষায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী পুরো জাতির সঙ্গে হাতে হাত রেখে কাজ করতে চায়। যে দাবিতে নৃশংস কর্মকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে, যার ফলে দেশের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিনষ্ট হচ্ছে সেটা সঠিক দাবি নয়।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা অং সান সু চি এবং তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির বেআইনী কার্যকলাপের কারণে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে।
এর আগে বিক্ষোভ নিয়ে রাস্তায় নেমে আসলে পিঠে ও মাথায় গুলি করে হত্যার হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন থেকে।
শনিবার বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুন, মান্দালয়াসহ বিভিন্ন শহরে আটকদের মুক্তি ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।
জান্তাবিরোধী গোষ্ঠী বিআরপিএইচের মুখপাত্র ডা. সাসা বলেন, আজকের দিনটি সশস্ত্র বাহিনীর জন্য লজ্জাজনক। তিন শতাধিক নিরাপরাধ মানুষকে হত্যার পর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করছেন জেনারেলরা।
ইয়াঙ্গুনের দালা উপশহরে পুলিশ স্টেশনের বাইরে বিক্ষোভে জড়ো হওয়া লোকজনের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করে নিরাপত্তা বাহিনী।
মান্দালয়ায় বিভিন্ন ঘটনায় ১৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ইনসেইন জেলা শহরে তিনজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে স্থানীয় অনূর্ধ্ব-২১ ফুটবল দলে খেলা এক তরুণও রয়েছেন। আর পূর্বের লাশিহো শহরে মারা গেছেন চারজন। ইয়াঙ্গুনের কাছে বাগোতেও আলাদা আলাদা চারটি ঘটনা ঘটেছে। এতে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৪ জন।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ