বিএনএ, ঝিনাইদহঃ ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে চাল আত্মসাতের অভিযোগে খাদ্য গুদামের বহিষ্কৃত পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রহমান মামলাটি করেন।
অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর জামতলা সড়কের মৃত মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া খাদ্যগুদামে কর্মরত থাকা অবস্থায় ১৮৯.৯৮ মেট্রিক টন চাল আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ প্রমানিত হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাহিদ কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, শফিকুল ইসলাম উল্লেখিত খাদ্য গুদামে দায়িত্ব পালনের বিভিন্ন সময় চারটি গুদামের ১২টি খামাল থেকে ১৮৯.৯৮ মেট্রিক টন চাল আত্মসাৎ করেন। যার সরকারি মূল্য ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এ ঘটনা জানাজানি হলে ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মাগুরার একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সহকারী রসায়নবিদ ইকরামুল কবীর ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক খোন্দকার তাজ উদ্দীন আহমেদ। তদন্ত কমিটি এ বছরের ৬ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্তে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
তদন্ত জমা দেওয়ার প্রায় দুই মাস পর আজ মঙ্গলবার ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার নম্বর ০১ / ২৩।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাহিদ কালাম জানান, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শফিকুল ইসলাম মাগুরার শালিখা উপজেলা আড়পাড়া এলএসডি খাদ্য গুদামে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রায় ৯০ লাখ টাকা মূল্যের চাল আত্মসাৎ করেন। পরে গঠিত তদন্ত কমিটির চাল আত্মসাতের প্রমাণ পায়। এর পর নিয়মিত মামলা করা হয়।
বিএনএ/আতিক, এমএফ